২০২৪ সালের মধ্যে গ্রামের সমস্ত বাড়ি বাড়ি নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার 'জল জীবন মিশন প্রকল্প'-এর সূচনা ꦑকরেছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের 'জল জীবন মিশন প্রকল্প'-এ সব থেকে পিছিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের এক রিপোর্টে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড ও রাজস্থান এই তিন বিরোধী শাসিত রাজ্যের গাফিলতিকে দায়ী করছে জলশক্তি মন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গ-সহ এই তিনটি র꧑াজ্যের অর্ধেক বাড়িতে এখনও পৌঁছায়নি নলবাহিত পানীয় জল। এখানেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে আদৌ কি পশ্চিমবঙ্গবাসী ২৪-এর মধ্যে বাড়ি বাড়ি জল পাবে?
২০১৯-এর ১৫ অগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী 'জল জীবন মিশন প্রকল্প' ঘোষণার পর থেকে এই প্রকল্পে রাজস্থানে কাজℱ হয়েছে ৪৩ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ৪০ শতাংশ এবং পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ৩৭ শতাংশ। সমগ্র দেশের নিরিখে গড়ে ৬৭.২২ শতাংশ কাজ হয়েছে। এই তিন রাজ্যের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই প্রকল্পেকে বাস্তবায়িত করতে পশ্চিমবঙ্গকে চাহিদা মতোই অর্থ জোগানো হচ্ছে। কিন্তু কাজের গতির নিরিখে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অꦜথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, আগামী বছর মার্চের মধ্যেই রাজ্যের গ্রামের প্রতিটি বাড়ি পৌঁছে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ৩ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল, 'হর ঘর জল'। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প বাস্তবয়নে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এই প্রকল্পের হাত ধরে সমগ্র দেশের ১২ কোটি ৯২ লক্ষ গ্রামীণ পরিবারে কাছে এই নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জলের পরিষেবা পৌঁছিয়ে গেছে। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই পরিসংখ্যান বেশ খারাপ। পশ্চিমবঙ্গের ১ কোটি ৭৩ লক্ষ গ্রামীণ পরিবারের মধ্যে মাত্র ৬৪ লক্ষ ৮৪ হাজার পরিবার এই পরিষেবা পেয়েছে। এই রাজ্যের ক্🔜ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে মাত্র ৩৭ শতাংশ।
♐পশ্চিমবঙ্গের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায় এই প্রসঙ্গে বলেন, বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছানোর কাজ চলছে। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে কাজ দেরিতে শুরু হয়েছে বলেই একটু বেশি লাগছে। তবে তিনি আরও বলেন, ২০২৪-এর মার্চের মধ্যেই রাজ্যের গ্রামের প্রতিটি বাড়ি নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে যাবে।