মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কোভিড–১৯ জয় করেছি। ওমিক্রনের দাপটও এবার রুখে দেব। শুধু আপনারা সচেতন হন। কিন্তু কলকাতা পুলিশের নথি বলছে, মুখ্যমন্ত্রীর এই আবেদন থাকলেও শহরের নাগরিকরা দেদার ভাঙছেন কোভিড–বিধি। এমনকী নৈশ কার্ফুও ভাঙছেন নগরবাসী। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, নৈশ বিধিনিষেধ ভাঙনে মঙ্গলবার পর্যন্ত সাত হাজারের বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। আর শেষ তিনদিনেই আইন ভাঙা হয়েছে ২১০০’র বেশি!ঠিক কী জানা যাচ্ছে? কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, নৈশ কার্ফু থেকে বিধিনিষেধ জারি হওয়া পর্যন্ত ৩ জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ ভাঙার জন্য ৭৩৬৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। এই পরিস্থিতি আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই কলকাতা শহর জুড়ে আরও কড়া ট্র্যাফিক ব্যবস্খা করা হচ্ছে। এখন গোটা রাজ্যজুড়ে করোনাভাইরাস রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। সেখানে সচেতন হতে হবে বলে বারবার বলা হচ্ছে। এখন ডবল মাস্ক পরতে পর্যন্ত বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাতের বিধিনিষেধ ভাঙা কার্যত আইন অমান্যের সামিল। অভিযোগ, রাত বাড়তেই অনেকে মোটকবাইক অথবা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আবার অনেকের মুখে মাস্ক নেই।ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের জেরে ব্রেথ অ্যানালাইজার বন্ধ করে দেওযা হয়েছে। সেখানে কোনও ব্যক্তিকে মদ্যপ মনে হলেই এখন হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ। একইসঙ্গে স্পট ফাইন তুলে দিয়ে তা অনলাইনে জমা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পার্ক সার্কাস, সায়েন্স সিটি, উল্টোডাঙা, রুবি, গড়িয়াহাট, রাসবিহারী, পার্ক স্ট্রিট–সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলছে নাকা তল্লাশি। তাতেই বিধিভঙ্গ করে ধরা পড়ছেন প্রচুর সংখ্যায় মানুষ। যা ভাবিয়ে তুলেছে।