মে'র গোড়ার দিকে সংক্রমণের শীর্ষে ছিল দুই বরো। তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে ছিলেন কলকাতা পুরনিগমের কর্তারা। তবে মাসখানেকের মধ্যেই তাঁদের সেই উদ্বেগ অনেকটা স্বস্তিতে পরিণত হয়েছে। পুরকর্তাদের মত, কড়া বিধিনিষেধের দৌলতে সেই দুই বরোয় সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মাসের মাঝামাঝি সময় নাগাদ কলকাতার পুরনিগম এলাকার মধ্যে দৈনিক আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে ছিল ১০ নম্বর বরো। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭০০-র কাছে। চার সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই সেখানে নয়া করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৪। যে বরোর মধ্যে আছে নিউ আলিপুর, কসবা, যোধপুর পার্কের মতো এলাকা। সেখানে রীতিমতো দাপট দেখাচ্ছিল করোনা। কার্যত একই ছবি ছিল ১২ নম্বর বরোতে। যে বরোর মধ্যে ইএম বাইপাস সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকাও ক্রমশ বাড়ছিল করোনা সংক্রমণ। গত মাসের গোড়ার দিকে ১২ নম্বর বরোয় দিনে ৬০০ জনের মতো নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলছিল। এখন (৬ জুন) সেই সংখ্যাটা ৩৬-এ ঠেকেছে।কিন্তু কোন জাদুবলে চার সপ্তাহের মধ্যে এতটা সংক্রমণ কমেছে? পুরকর্তাদের মতে, গত ১৬ মে কলকাতা-সহ রাজ্যের সর্বত্র কড়া বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। তাতে পুলিশি কড়া নজরদারির পাশাপাশি সাধারণ মানুষও সাড়া দিয়েছেন। বিভিন্ন বাজারে কমেছে ভিড়। কখনও কখনও বিধিভঙ্গের ছবি ধরা পড়লেও মোটামুটি নিয়ম মেনেই চলেছেন মানুষ। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে লাগাম টানা গিয়েছে। তার জেরেই দুই বরো-সহ সমগ্র কলকাতায় করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নীচের দিকে যাচ্ছে। বিশেষত ২৬ মে কলকাতায় যখন ২,৩৭৮ জন নয়া আক্রান্তের হদিশ মিলেছিল, ৬ জুন (রবিবার) তা কমে হয়েছে ৬৪৫। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তির হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন পুরকর্তারা।