আরজি করের প্রতিবাদে কলকাতার অন্যতম পুজো স্লোগান দেওয়ায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই ৯ জনকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে বেশ কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে আদালত। শর্ত হিসেবে, আর কোনও পুজো মণ্ডপের ২০০ মিটারের মধ্যে প্রতিবাদ জানানো যাবে না। এমনকী রাজ্য সরকারের কার্নিভালেও ব্যাহত করতে পারে এমন♛ ধরনের কাজ করা যাবে না।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার প্রত্যেকের ১ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছেন। আরও নির্দেশ, ধৃতদের প্রতি সপ্তাহে থানায় হাজিরা দিতে হবে। আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৯ জনের অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। তবে এর মধ্যে তার𒀰া আর কোনও পুজো মণ্ডপে প্রতিবাদ জানাতে পারবেন না।
'মানুষকে বিরক্ত করা💯 উদ্দেশ🐻্য ছিল না' জানিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য, এর আগে আলিপুর আদালত তাদের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ৯ অভিযুক্তের পরিবার। এ নিয়ে তারা প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তাদের আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতি মামলার অনুমতি দেন। বিচারপতি শম্পা সরকারের বিশেষ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তারা ত্রিধরা সম্মিলনীতে পুজো দেখতে গিয়ে আরজি✱ করের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ‘বিচার চাই’ স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন। সেই অভিযোগে তাদেরকে গ্꧂রেফতার করে পুলিশ। এদিকে এই গ্রেফতারের প্রতিবাদে বুধবার রাতে লালবাজার অভিযান করে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একটি দল। তারা সেখানে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, আরজি করের নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি নিয়ে বুধবার উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার একাধিক মণ্ডপে জুনিয়র ডাক্তাররা প্রতিবাদ জানান। সেই সন্ধ্যায় জুনিয়র ডাক্তারদের হাতে নির্যাতিতার প্রতীকী মূর্তি দেখে কিছু মানুষ বিচ♈ার চাই স্লোগান তোলেন। তারপরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে তাদের বচসা বাঁধে♓। এরপর পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
যদিও কেন তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সেই ব্যাখ্যা আদালতে দিয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য, পরিকল্পনামাফিক তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। তারা জামিন পেলে অন্য পুজো মণ্ডপে গিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা ব্যাহত করতে পারে। অন্যদিকে, অভিযুক্তꦅদের আইনজীবীদের দাবি, পুলিশ এই ঘটনায় কোনও স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেনি। একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এফআইআর করেছে। কিন্তু, অভিযুক্তদের পরিবার সেই দাবি মানতে নারাজ। তাই তারা নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। পাল্টা 🐎তারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। শেষে হাইকোর্টে জামিন পেলেন ৯ জন।