বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা ছক্কা হাঁকাতেই এই বিপুল জয় নিয়ে মুখ খুললেন দলের 'সেকেন্ড ইন কম্যান্ড' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোশাল মিডিয়ায় দল তথা দꦚলীয় প্রার্থীদের এই সাফল্যের জন্য তৃণমূলের সকলস্তরের নেতা ও কর্মীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে, বাংলার মানুষকে🌟 কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন 'অপপ্রচার'-এর বিরুদ্ধে গিয়ে জনমত প্রকাশ করার জন্য।
শনিবার সকাল থেকে ভোটগণনা শুরু হতেই বোঝা যায়, হাওয়া রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দিকেই। এমনকী, যে মাদারিহাট নিয়ে এত দিন ধরে কাটাছেঁড়া চলেছে, সেই আসনটি পর্যন্ত বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। বস্তুত, সেখানে প্রথমবার সাফল্য পেল তারা! ফলত, যে ছ'টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছিল, তার সবক'টিতেই জয়লাভ করে রাজ্য🌄ের শাসকদল।
ওয়াকিবহাল মহলের বিশ্লে🌞ষণ, আরজি কর কাণ্ড পর্যন্ত তৃণমূলের জনভিত্তি টলাতে পারেনি। এমনকী, অপেক্ষাকৃত শহুরে এবং মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত নৈহাটি আসনটিও ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে ঘাসফুল শিবির। বরং সেখানে জয়ের ব্যবধান আগের থেকেও কয়েকগুণ বেড়েছে!
এই প্রেক্ষাপটে স্বভাবতই অভিষেকের সোশাল মিডিয়া পোস্টে উচ্ছ্বাস স্পষ্ট ধরা পড়েছে। একইসঙ্গে, বিরোধীদের কড়া ভাষায় নিশানা করেছেন তিনি। বিরোধী রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সংবাদমাধ্যম এবং বিচার বিভাগের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূ💦লের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
তাঁর পোস্টের শুরুতেই জয়ী ছয় প্রার্থীকে অভিনন্দনꦆ জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে 'জমি🍎দার' বলে তোপ দেগেছেন।
তাঁর বক্তব্য🃏, জমিদার (বিজেপি🔯), সংবাদমাধ্যম এবং কলকাতা হাইকোর্টের একাংশ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য লাগাতার বাংলার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে। কিন্তু, বাংলার মানুষ তাতে সাড়া দেয়নি। বদলে, তারা ফের একবার তৃণমূলের উপরেই আস্থা রেখেছে।
তথ্যাভিজ্ঞ মহল বলছে, ইদানীংকালে উত্তরবঙ্গে দলের ভিত শক্ত করতে তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে উঠে-পড়ে লেগেছে, সেই প্রচেষ্টায় বড় 🅺অক্সিজেন জোগাবে মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনের এই জয়।
অভিষেক নিজেও সেকথা বিলক্ষণ জানেন। আর, সেই কারণেই নিজ🌼ের পোস্টে মাদারিহাটের মানুষকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, এই প্রথমবার মাদারিহাটের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে পরিষেবা প্রদানের সুযোগ করে দিল। এর জন্য তাদের বিশেষ করে ধন্যবাদ।
এরপর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে🦹ই এই বিপুল জয়ের জন্য বাংলার মানুষের প্রতি নতমস্তকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, বাংলার মানুষ 'বাংলা বিরোধীদের ভꦺুয়ো প্রচার'-কে পাত্তা না দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের উপরেই আরও একবার ভরসা রেখেছে।
সবশেষে এই জয়ের জন্য দলের একেবারে তৃণমূলস্তরের কর্মী থেকে শুরু করে অঞ্চল, ব্লক ও জেলꦍাস্তরের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানিয়🌸েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
দলীয় সদস্যদের কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা এবং অক্লান্ত প্রচেষ্টাকেও কুর্ন🎃িশ জানাতে ভোলেননি তিনি। তাঁর আশ্বাস, তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার সম্মান ও গর্ব রক্ষ🎀া করতে এবং বাংলার মানুষকে পরিষেবা প্রদান করতে এভাবেই লাগাতার কাজ করে যাবে।