হাতে আর একসপ্তাহও বাকি নেই। তারপরই তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভেন্ট ২১ জুলাই শুরু হবে। এখন তার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। তবে এবার মঞ্চের খুঁটিপুজো করা হল। খুঁটিপুজো করতে দেখা গেল সুব্রত বক্সিকে। বাংলার মানুষ এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর কাজের উপর ভরসা রেখেছেন। তবে ২০২৩ সালের ২১ জুলাইয়ে বেশ কিছু চমক থাকতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এই আবহে বিধাননগরে কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনে গেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ𝓀্যোপাধ্যায়। এখন একুশে জুলাইয়ের জন্য রাজ্যের উত্তরবঙ্গ থেকে আসা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এই মাঠেই। সেই ব্যবস্থাপনা দেখতেই আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার উত্তরবঙ্গেও ভাল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির গড়ে তাদের গোহারা হারিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সুতরাং সেখান থ♔েকে মানুষ বেশি আসবে সেটাই দস্তুর। শুক্রবার মঞ্চ তৈরির আগে সেখানে হয় খুঁটিপুজো। সারাবছর এই দিনটির দিকে তাকিয়ে থাকেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরা। শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে আগামী দিনে চল🤪ার পথ এবং শপথ নেওয়া হয় এখান থেকেই। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিকনির্দেশ করে দেন। ইতিমধ্যেই প্রত্যেক এলাকায়, ব্লকে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি সভা। আর প্রস্তুতির অঙ্গ হিসেবে সল্টলেকের সেন্টাল পার্ক ঘুরে দেখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে একুশে জুলাইয়ের সভা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন প্রান্✅ত থেকে এসে মানুষ জমা হয় কলকাতার ধর্মতলায়। আর উত্তরবঙ্গ থেকে আসা মানুষদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় বিধাননগরের কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণে। সেই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কর্মীদের থাকা– খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। এবার সেসবই খতিয়ে দেখতে শুক্রবার বিকেলে বিধাননগরের মেলা প্রাঙ্গণ আসেন অভিষেক। তার সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের দমকল মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক সুজিত বসু এবং বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী। সেখান থেকে নন্দীগ্রামে পঞ্চায়েত নির্বাচনের হিংসায় আহত তৃণমূল কর্মীদের দেখতে এসএসকেএম 🍰হাসপাতালে যান তিনি।
আরও পড়ুন: তৃণমূ𒁃লের ‘মহাসচিব’ পদ তুলে দেওয়া হল, তালা পড়ল বিধানসভায় পার্থের ঘরেও
অন্যদিকে বিধায়ক সুজিত বসুর থেকে আয়োজন সম্পর্কে তথ্য নেন অভিষেক। তিনি ঘুরে𒐪 দেখেন প্রস্তুতি। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের সামনে কোন কথা বলেননি। শুধু গাড়িতে উঠে হাতজোড় করে নমস্কার জানান সকলকে। পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চলে গেলে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রত্যেক বছরই এই মেলা প্রাঙ্গণে উত্তরবঙ্গের মানুষদের একুশে জুলাইয়ে যারা সমাবেশে আসেন তাদের থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেটা দেখতে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও এসেছিলেন। আরও বেশ কয়েকবার তিনি এখানে আসবেন।’ আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে এটাই শেষ শহিদ দিবস।