রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ। জ্বর শ্বাসকষ্টে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে বহু শিশুর। এছাড়াও অনেক শিশু ভরতি রয়েছে হাসপাতালে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। যদিও স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, অ্যাডিনো নিয়ে আতঙ্কিত🐼 হওয়ার কিছু নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে। তবে আইসিএমআরের নাইসেডের সমীক্ষা বলছে অন্য কথা। সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, অ্যাডিনোভাইরাস꧂ের সংক্রমণে পশ্চিমবঙ্গ হল শীর্ষে। যা উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
কলকাতার বিসি রায় হাসপাতালে জ্বর, 🅘শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়েছে বহু শিশুর। শুক্রবার মৃত্যু ๊হয়েছে আরও ৩ শিশুর। যদিও এক্ষেত্রে রাজ্য ඣসরকার দাবি করছে অ্যাডিনোয় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা খুব কম। বরং কোমর্ডিবিটি ও রেফার জনিত সমস্যায় অধিক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নাইসেডের তরফে দাবি করা হয়েছে অন্যান্য রাজ্যগুলির তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলায় অ্যাডিনোর প্রকোপ ৩৮ শ🧸তাংশ। তারপরে তামিলনাড়ুর স্থান। এই ভাইরাস শ্বাসনালীতে সংক্রমণ ঘটায়। যার ফেলে শ্বাসকষ্ট হয় শিশুদের। সারাদেশ জুড়ে আইসিএমআরের ভাইরাল রিসার্চ ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরিতে সমীক্ষা করা হয় ল। তাতেই এই তথ্য জানা গিয়েছে। সমীক্ষা অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনো আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ শতাংশ, তামিলনাড়ুতে ১৯ শতাংশ, কেরলে ১৩ শতাংশ, দিল্লিতে ১১ শতাংশ এবং মহারাষ্ট্রে ৫ শতাংশ। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বলেছিলেন, ‘অ্যাডিনো প্যানিক হয়ে গিয়েছে। এই সময়ে বাচ্চাদের টাইফয়েড হয়, হাম হয়, সর্দিকাশি হয়। তাই আতঙ্কিত হবেন না। ২ বছর বয়সের মধ্যে শিশুদের এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তারা মাস্ক পরতে পারে না। তাই ঘরে রাখুন। ভয় পাবেন না। ৫ হাজার বেড আমাদের ৬০০ শিশু চিকিৎসক তৈরি। বাচ্চা জন্মায় যখন, ওজন কম হলে, ওদের প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না। তাদের জন্য আমরা ২৫০০ বেড করেছি। এখন বাচ্চাদের অনেক যত্ন করা হয়। এসএনসিইউ প্রায় ২৫০০ আছে। এসএনএসইউ আছে ৪-৫ হাজার। আরও ছোট্ট বাচ্চাদের পিকু, নি🦩কু অনেক আছে। প্যানিক করছেন অনেকে। মানুষ ভয় পাচ্ছেন। এতে প্রাইভেট হাসপাতালগুলি ব্যবসা করার সুযোগও পায়। এটা সব রাজ্যে হচ্ছে।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও।♓ এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p🔜/p7me4aup