এক দেশ-এক ভোটের কমিটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চিঠি দিলেন কংগ্রেস এমপি অধীর চৌধুরী। ৮ সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কমিটিতে নাম ছিল অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেই সেই কমিটিতে নাম ছিল অধীর চৌধুরীর। এরপরই প্রশ্ন উঠছিল ইন্ডিয়া জোট কি আদৌ অধীরকে ওই কমিটিতে থাকার ক্ষেত্রে অনুমোদন দেবে? তবে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে অধীর♑ রঞ্জন চৌধুরী জানিয়ে দিলেন, ওই কমিটিতে থাকছি না।
🅺কেন তিনি থাকছেন না তার কারণও তিনি উল্লেখ করেছিন। তিনি চিঠিতে লিখেছেন, লোকসভার বিরোধী দলনেতার নাম থাকলে কেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার নাম নেই? এটা আইওয়াশ। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এক ধরনের অপমান, লিখেছেন অধীর। তিনি লিখেছেন এই কমিটিতে থাকা, আপনার আমন্ত্রণ রক্ষা করা সম্ভব নয়। জানিয়ে দিলেন অধীর চৌধুরী।
কার্যত প্রত্যাশিতই ছিল বিষয়টি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অত্যন্ত কৌশলে 💯অধীরের নামটি কমিটিতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু প্রত্যাশামতোই সেই কমিটি থেকে নাম প্রত্যাখান করে অমিত শাহকে চিঠি দিলেন অধীর চৌধুরী।
এই কমিটি নিয়ে যে নোটিফিকেশন জারি করা হয়েছিল সেখানে অন্তত ৮জনের নাম ছিল। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এই কমিটিতে নাম ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কংগ্রেস এমপি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, প্রাক্তন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ ,পঞ্চদশ ফিনান্স কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এনকে সিং, লোকসভার প্রাক্তন সেক্রেটারি জেনারেল ডঃ সুভাষ ಞসি কাশ্যপ, সিনিয়র অ্যাডভোকেট শ্রী হরিশ সালভে, প্রাক্তন চিফ ভিজিলান্স কমিশনার সঞ্জয় কোঠারি এই কমিটিতে রয়েছেন। তাঁরা মূলত এই এক দেশ এক ভোট এই তত্ত্বকে খতিয়ে দেখবেন। এই কমিটির একেবারে মাথায় রয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
এই কমিটি থেকে সরে যাওয়ার জন্য অমিত শাহকে চিঠি পাঠালেন অধীর চৌধুরী। এবার 🔯তার জেরে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, পরবর্তী কোনও নোটিফিকেশন জারি হয় কি না সেটাই এখন দেখার।