বাজারে পেঁয়াজের দাম শুনে অনেকেরই ভিড়মি খাওয়ার অবস্থা। কলকাতার বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজের দাম ৪৫ ཧটাকা প্রতি কেজি। এদিকে এবার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এবার বলাগড় থেকে সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ কিনে তা সুফল বাংলার স্টলে বিক্রি করতে চায় সরকার। এর জেরে কিছুটা হলেও 𒆙দাম কমতে পারে পেঁয়াজের। অর্থাৎ অন্তত সুফল বাংলার স্টলে কিছুটা কম দামে পেঁয়াজ পেতে পারেন বাসিন্দারা।
এদিকে সম্প্রতি মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। ১০ দিনের মধ্য়ে দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রশাসন। মমতা জানিয়েছিলেন নাসিকের প্রতি নির্ভরশীলতা কমিয়ে স্থানীয় চাষিদের কাছ থে🐎কে পেঁয়াজ কেনার ব্যাপারে। এরপরই প্রশাসন এনিয়ে উদ্যোগ নেয়। বলাগড়ের কিছু এলাকায় পেঁয়াজের চাষ হয়। সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে পেঁয়াজ কেনার আবেদন করছেন আধিকারিকরা।
কিন্তু কেন বাংলার পেঁয়াজ না কিনে নাসিকের পেঁয়াজের প্রতি এত নির্ভরশীলতা? আসলে মূল সমস্যাটা হল বাংলায় পেঁয়াজ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। সেকারণে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করার সুযোগ না থাকায় পেঁয়াজ ঠিকঠাক করে র෴াখা যায় না। দামও পান না কৃষকরা।
তবে মুখ্য়মন্ত্রীর নির্দেশের পরেই বিডিও সুপর্ণা বিশ্বাস ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিখা মণ্ডল বলাগড় ব্লকের ব꧟িভিন্ন জায়গায় গিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। বলাগড় ব্লকের জিরাট, সিজা, কামালপুর, বাঁকুলিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় পেঁয়াজের চাষ হয়। কিন্তু সেই পেঁয়াজের উপযুক্ত দাম পান না কৃষকরা।
তবে আপাতত ঠিক করা হয়েছে যে সেই কৃষকদের কাছ থেকে ৩২টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে তা সুফল বাংলার স্টলে বিক্রি করার উদ্য়োগ নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে কিছুটা হ💯লেও কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। আবার পেঁয়াজের উপযুক্ত দাম পাবেন কৃষকরা। সব মিলিয়ে স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষ। স্বস্তি পাবেন কৃষকরা। দুদিকটাই বজায় রাখা যাবে। কিন্তু প্র🦩শ্নটা হল এই উদ্যোগ কি কেবলমাত্র এক বছরের জন্য? আগামী দিনে কি এইভাবে কৃষকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কেনা সম্ভব হবে?
তবে সাধারণ কৃষকদের দাবি, পেঁয়াজ কেনার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা দরকার। একবার পেঁ♑য়াজ কিনে আর প্রশাসনের লোকজনের দেখা নেই এমনটা করলꩲে হবে না। কারণ পেঁয়াজ বিক্রি ও সংরক্ষণ নিয়ে বছরভরই সমস্যায় থাকেন কৃষকরা।