গোটা রাজ্যে পলিটেকন🌊িক কলেজে যখন এক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয়েছে, তখন বিষ্ণুপুরের একটি বেসরকারি কলেজে অন্য প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয়েছে। কীভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ধরনের ঘটনায় বাস্তব মূল্যায়ন ঠিকভাবে হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদিও কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন পর্ষদের তরফে অবশ্য বিষ♐য়টিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষায় 🌟এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। পুরুলিয়া সরকারি পলিটেকনিকের সঙ্গে বিষ্ণুপুরের বেসরকারি কলেজটির প্রশ্ন মিলিয়ে দেখা হয়। দেখা যায়, দু'টি প্রশ্নের মধ্যে কোনও মিল নেই। শিক্ষকদের একাংশের খাতা মূল্যায়ন করার সময় বিষয়টি নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে সেটি সংসদকে জানানো হয়। সংসদের তরফে অবশ্য অন্য প্রশ্নপত্র পাঠানোর বিষয়টিকে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, সংসদই ওই প্রশ্নপত্র পাঠিয়෴েছে। কিন্তু কী কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটল, তার প্রকৃত কারণ অবশ্য জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৪০ থেকে ৫০টি পলিটেকনিক কলেজে ইলেকট্রনিক্স রয়েছে। শুধু ইলেকট্রনিক্সেই নয়, আরও দু'টি বিষয়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে বাকি দু'টি বিষয়ের ক্ষেত্রে অবশ্য এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি। এই ধরনের ঘটনার খবর পৌঁছয় কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী হুমায়ূন কবীরের কাছেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে তাঁকেও এগিয়ে আসতে হয়েছে। পলিটেকনিক কলেজের এই ধরনের প্রশ্ন বিভ্রাটের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের মতে, এই ধরনের ঘটনা ঘটলে পড়ুয়াদের সঠিক মূল্যায়ন হয় না। তবে রাজ্যের প্রযুক্তি বিশꩵ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বেসরকারি ডিগ্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এই ধরনের ঘটনা ঘটে না। সেখানে এক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। কোনও ব্যতিক্রমের প্রশ্নই নেই।