বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে রোগী মৃত্যুকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধে গত শুক্রবার রাতে। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের পর থেকেই সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার এবং চিকিৎসাকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরই মাঝে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। তবে এরই মাঝে আরজি কর আন্দোলনের ঝাঁঝ কমেছে। তবে ফের সরকারি হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটল। এমনকী ৩ নার্সকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে এই ঘটনায়। (আরও পড়ুন: সুকান্তকে 'পার্টটাইম সভা𝓀পতি' আখ্যা, তথাগত বললেন, '…মমতা চিরকাল শাসনꦓ করবেন')
আরও পড়ুন: 🐎আশায় বুক বেঁধে থাকা সরকারি কর্মীরা খেলেন জোর ধাক্কা, প্রকাশ্যে নয়া আপডেট
এর আগে আরজি কর কাণ্ডের আবহে সব সরকারি হাসপাতালে নিরপত্তা বৃদ্ধির দাবি উঠেছিল। সেই মামলা গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রতিটি হাসপাতালে নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থাও করা হয়। এর মাঝেও ফের হামলার ঘটনা ঘটেছে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। এদিকে এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। তবে এরপর তৎপরতার সঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (আরও পড়ুন: তৈরি হবে গভীর নিম্নচাপ, বাংলার কোন ꧂জেলায় হবে বৃষ্টি? জানুন আবহাওয়ার পূর্বাভাস)
আরও পড়ুন: মিটবে বকেয়া ডিএ-র 'জ্বালা', শীঘ্রই ১৮৬% 'লাভ' হবে𒊎 স🍒রকারি কর্মীদের?
রিপোর্ট অনুযায়ী, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল মেহবুব আলম নামের এক যুবককে। দিঘা থেকে ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল সে। পথে তার পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়েছিল। ২৮ বছর বয়সি সেই যুবকের বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা চালানো হয় হাসপাতালে। সেই সময় রিপোর্টে দেখা যায়, যুবকের হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে। পরে ইসিজি করার সময় মৃত্যু হয় মেহবুবের। এরপরই হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতাল চত্বরে চলে আসে প্রায় ২০০ জন। এরপর রাত প্রায় সাড়ে বারোটা নাগাদ হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু হয়। সেই সময়ই কর্মরত তিন নার্সকেও মারধর করা হয়। ভয়ে সেই নার্সরা শৌচালয় লুকিয়ে পড়েন। হাসপাতাল কর্মীদের দাবি, স্থানীয় ফাঁড়ি ও থানায় খবর দিয়েও সময়ে আসেনি পুলিশ। পরে অবশ্য ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে ৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। (আরও পড়ুন: আমাদের কোনও পোর্টফ༒োলিও সংস্থার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই: আদানি গ্র𒆙ুপের CFO)
আরও পড়ুন: 'সংবিধানে ও💮ꦺয়াকফ আইনের কোনও স্থান নেই', কংগ্রেসকে তোপ দেগে বললেন নরেন্দ্র মোদী
অভিযোগ, হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে প্রায় শতাধিক মানুষ তাণ্ডব চালিয়েছিল সেদিন। এদিকে রোগীর পরিবার চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলে। এই আব🍒হে চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি এবং কাগজপত্র চাইতে থাকেন মৃতের বাড়ির লোকেরা। সেই সময় তাদের জানানো হয়েছিল, আদালতের নির্দেশ ছাড়া সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি কাউকে দেওয়া সম্ভব নয়।