সম্প্রতি বিজেপি শাসিত গুজরাতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত কার হয়েছে গীতা। ভোটমুখী গুজরাত সরকারের এহেন সিদ্ধান্তে ফের শিক্ষাক্ষেত্রে ধর্ম সংক্রান্ত বিতর্ক তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মাঝে বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য দাবি করলেন যে গীতা কোনও ধর্মগ্রন্থ নয়। তিনি দাবি করেন, গীতা আদতে একটি দর্শন এবং গোটা বিশ্ব এই কথাটি স্বীকার করে। এই আবহে তিনি বলেন, ‘গীতা পাঠ্যসূচিতে থাকলে সমস্যা কোথায়?’উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২২-এর অধীনে আসন্ন শিক্ষাবর্ষের জুলাই থেকে গুজরাতের স্কুলে গীতা পড়ানো হবে। ভারতীয় জ্ঞানতন্ত্র নামক পরিকল্পনার আওতায় গুজরাত সরকার পাঠ্যক্রমে গীতা অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা করেছে। এদিকে গুজরাতের পাশাপাশি বিজেপি শাসিত কর্ণাটকেও গীতা পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারগুলির বক্তব্য, গীতা শুধুমাত্র হিন্দু নয় বরং সব ধর্মের মানুষের জন্যইই শিক্ষণীয়। এই আবহে পড়ুয়াদের আদর্শ মূল্যবোধ এবং নীতি শেখানোর লক্ষ্যে গীতা পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই আবহে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘গীতা কোনও ধর্মগ্রন্থ নয়, এটা একটা দর্শন।’স্কুল পাঠ্যক্রমে ভগবত গীতার মূল্যবোধ ও নীতিগুলি চালু করার সিদ্ধান্তটি নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী। স্কুলগুলি এই ধর্মগ্রন্থের উপর ভিত্তি করে প্রার্থনা, শ্লোক পাঠ, নাটক, কুইজ, আঁকা এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। মন্ত্রী যোগ করেন যে গীতার সঙ্গে যুক্ত বই এবং অডিও-ভিডিও সিডির মতো জিনিস স্কুলগুলিকে দেওয়া হবে সরকারের তরফেই।