পূর্ব ভারতের অর্থনৈতিক শক্তির কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ। ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক গতি বাংলার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছে বিশিষ্ট মহল। শিল্প এবং লজিস্টিক প্রযুক্তির উন্নতি যেমন হচ্ছে, তেমনই কলকাতা দেশের অন্যতম প্রধান রিয়েল এস্টেট নির্মাণের বাজার হিসাবেও চিহ্নিত হয়েছে কলকাতা। চলতি বছরের এপ্রিল জুন মাসে শিল্প ও লজিস্টিক সংক্রান্ত লিজিং কার্যকলাপের জন্য কলকাতা শীর্ষ তিনটি শহরের মধ্যে চলে এসেছে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৮ থেকে ১২ শতাংশ শিল্প সংক্রান্ত লিজিং কলকাতা শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।কলকাতা শহরের কৌশলগত অবস্থান, পরিবহন পরিকাঠামো অর্থনৈতিক বৃদ্ধি এবং গুদামজাতকরণের চাহিদা এই লিজিং-এর প্রবণতাকে বৃদ্ধি করেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আন্তর্জাতিক স্টেক হোল্ডারদের আগমন স্থানীয় রিয়েল এস্টেট ডেভলপারদের প্রভাবিত করেছে, এমনই উল্লেখ করা হচ্ছে সিবিআরই রিপোর্টে। আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ এবং ই-কমার্স সেক্টরে লিজিং সংক্রান্ত মন্দার মধ্যেও কলকাতা শিল্প এবং লজিস্টিক ক্ষেত্রে চলতি বছরের জানুয়ারি কোয়ার্টারে স্থিতিশীল থেকেছে। রাস্তা এবং বন্দরসহ রাজ্যে পরিকাঠামোর উন্নয়ন শিল্প ও লজিস্টিক সেক্টরের অগ্রগতিকে তরান্বিত করেছে। কলকাতা এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে লিজিং কার্যকলাপের দিক থেকে দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে।এডভাইসারি এন্ড ট্রানজাকশন সার্ভিসেসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাম চন্দনানি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ একটি শক্তিশালী অক্ষ হিসেবে বিরাজমান। স্বচ্ছ পরিচালনা এবং উন্নত পরিকাঠামো বাংলাকে পূর্ব ভারতের অগ্রগতির অগ্রণী রাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। রাজ্যজুড়ে বিশেষত কলকাতায় রিয়েল এস্টেট ব্যবসার গতি আগামীতেও বৃদ্ধির যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন রাম চন্দনানি। শিল্প এবং লজিস্টিক সেক্টর সার্বিকভাবে চলতি বছরে নয় থেকে দশ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে কলকাতার মোট অফিসের কাজে ব্যবহৃত আবাসনের মোট আয়তন ৩৪ মিলিয়ন বর্গফুট, যা যথেষ্টই তাক লাগানোর মত। বিশ্ব মন্দার বাজারেও I&L অর্থাৎ শিল্প ও লজিস্টিক সেক্টরে বাংলার অগ্রগতিতে আশাবাদী বাণিজ্যমহল থেকে সরকার, সকলেই।