বারোয়ারি পুজোর ভাসান চলছে। করোনা আবহে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তা চললেও নদীতে যাতে দূষণ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার এবং পুরসভা। ভাসানের সময় প্রতিমার কাঠামো–সহ ফুল ও অন্যান্য জিনিস যাতে জলে দূষণ ছড়াতে না পারে তার জন্য নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভা কর্তৃপক্ষ ভাসান থেকে দূষণ আটকাতে দুটি ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করেছে। সেখানেই ভাসান দিতে হবে দুর্গা প্রতিমার।দুটো বড় জলাধার সিন্থেটিক দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এভাবেই দূষণ আটকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বিষয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বলেন, ‘আমরা মোবাইল ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পরিকল্পনা করছি। যাতে নির্দিষ্ট করা জলাধারে দূষণ ছড়াতে না পারে। এই উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন দূষণ ঠেকানো সম্ভব অন্যদিকে জল পরিষ্কার রাখাও যাবে।’জানা গিয়েছে, এই দুটো পুকুরে প্রায় ২০০ প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে। আরও ১০০০ প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার এক আধিকারিক জানান, জলাধারের কাছে মেশিন বসানো হয়েছে। ভাসানের পর দ্রুত কাঠামো তোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করছি। দক্ষিণ কলকাতার এক পুজো কমিটি জলের তোড়ে প্রতিমা গলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছে। ত্রিধারা সম্মিলনী পুজো কমিটির এক সদস্য বলেন, ‘এখানে দুটো কাজ একসঙ্গে হবে। এক, এটা থেকে সংক্রমণ আটকানো সম্ভব হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হবে। দ্বিতীয় দূষণ আটকানো সম্ভব হবে।’