রাত পোহালেই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এই সম্মেলনে অত꧃িথিদের স্বাগত জানাতে এখন তৈরি তিলোত্তমা। কিন্তু এই আবহেও রাজনৈতিক তরজা থামল না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই শিল্প সম্মেলনের আযোজন করছে। আর সেটাকে নিয়ে আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাংলার ছেলে💖–মেয়েরা যাতে চাকরি পায় তার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে এই শিল্প সম্মেলন প্রত্যেকবার আয়োজন হলেও সেটা ‘বিনিয়োগ শূন্য’ বলে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে পালটা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
এদিন এই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা সেখানে লেখেন, ‘এই বিজিবিএস সামিট আদৌ কোনও ব্যবসা সম্পর্কিত সম্মেলন নয়। গ্লোবাল বা বিশ্বজনীন হওয়ার থেকে এসব অনেক দূরে। এটা আদতে একটা চমক। যেটা বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে। মুখ্যমন্ত্রী কি পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে জানাবেন, প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ কত? ১৫.৭ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ কোথায় হয়েছে? আগের ৬টি সংস্করণ আদৌ বাস্তবায়িত হয়েছে? যাঁরা🐈 চাকরি পেয়েছেন তা🌊ঁদের তালিকা প্রকাশ করুন।’
নন্দীগ্রামের বিধায়কের কটাক্ষের পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের রཧাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর খোঁচা, ‘আমাদের যে শিল্প সম্মেলন হচ্ছে সেখানে বাংলায় খুব বড় বিনিয়োগ আসতে চলেছে। শেষ পাঁচ বছরেও বিনিয়োগ আসছে। আর কর্মসংস্থানও বাড়ছে। শুভেন্দু অধিকারী যেটা বলছেন, সেটা সিবিআইয়ের ভয়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর ভুলভাল বকছেন। সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারী। তাই এরকম ভুলভাল মন্তব্য করে যাচ্ছেন। রাজ্যের শিল্প সম্মেলনকে কালিমালিপ্ত করতে এইসব মন্তব্য করা হচ্ছে।’ সুতরাং বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরুর আগেই চরমে উঠল রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: ‘টানেলে আটকে শ্র🌺মিকরা, প্রধানমন্ত্রী খেলা দেখছেন’, তীব্র কটাক্༒ষ করলেন সেলিম
আর কী জানা য𒁏াচ্ছে? আগামীকাল ২১ নভেম্বর শুরু হচ্ছে এই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। আর ২২ নভেম্বর তা চূড়ান্ত মাত্রা নেবে। শিল্প সম্মেলনে ২৮টি দেশ অংশগ্রহণ করতে রাজি হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি উপস্থিত থাকতে পারেন এই সম্মেলনে। এছাড়া আইটিসি, অম্বুজা নেওটিয়꧒া, হীরনন্দানি গ্রুপ–সহ একাধিক শিল্পপতি এখানে উপস্থিত হতে চলেছেন। এমনকী ইংল্যান্ড, জার্মানি, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, স্পেন, রাশিয়া, বসনিয়া, আর্মেনিয়া, ফিনল্যান্ডের মতো দেশের প্রতিনিধিরা আসতে পারেন।