ভোট পরবর্তী হিংসার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এরাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধিদল।বৃহস্পতিবারই তাঁরা নবান্নে গিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। গিয়েছিলেন একাধিক নিহত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতেও।শুক্রবার তাঁরা গেলেন বালিগঞ্জের বিএসএফের সদরদপ্তরে। সেখানে উপস্থিত হন বিজেপির ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রীয় দলকে তাঁরা হিংসাপ্রবণ এলাকা খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেন। পাশাপাশি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে হিংসা বন্ধ করে দোষীদের গ্রেফতার করারও দাবিও জানান তাঁরা। এদিন বিজেপির এই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল ও বিজেপি নেতা নন্দীগ্রামের সদ্য নির্বাচিত বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।পরে সেখান থেকে বজবজেও যান কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। এদিন বিজেপির প্রতিনিধিদল আড়াইশো পাতার রিপোর্ট কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের হাতে তুলে দেন।পাশাপাশি কেন্দ্রীয় দলকে হিংসা প্রবণ এলাকাগুলো সারেজমিনে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেন বিজেপির প্রতিনিধিরা।এদিন তাঁরা বলেন, ‘ সরকার বলছে হিংসা থেমে গিয়েছে, সেটা ঠিক নয়। রাজ্য সরকার যা দাবি করছে সেটা ভুল। আমাদের কাছে যা রিপোর্ট রয়েছে হিংসা এখনও অব্যাহত। আজ সকালেও মেদিনীপুরে দলের তিনজনকে কোপানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন মারা গিয়েছেন। এছাড়াও একাধিক জায়গা থেকে হিংসার খবর আসছে। এখনও অনেক মানুষ ভয়ে পালিয়ে গিয়ে অন্য বাড়িতে কিংবা বনে, জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন। সেটাই আমরা দেখে আসার অনুরোধ জানিয়েছি। তাঁরা আরও বলেন, ‘ এখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও সুরক্ষিত নন। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, তিনদিন আমার দায়িত্ব ছিল না। অথচ আসানসোলের চৌরাস্তায় বাবুল সুপ্রিয়র ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। এমনকী, বিজেপি নেত্রীদের চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়েছে। এগুলো মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীনই হয়েছে।’বিজেপি নের্তৃত্বের আরও অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে আফগানিস্তানের সিরিয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। দিকে দিকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। এখন মাছের ভেড়িও নষ্ট করা হচ্ছে। দোকানপাট বাড়িঘর লুঠ হয়ে গিয়েছে। এমনকী, লক্ষ লক্ষ টাকা লুঠ হয়ে গিয়েছে। গেস্টহাউস ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙা হচ্ছে।এদিন বিজেপির প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ যারা হিংসা করছে, তাদেরকে গ্রেফতার করুন। সভ্য সমাজে এটা চলতে পারে না। আগেও বলছি, এখনও বলব হিংসা বন্ধ করুন।’