একুশের নির্বাচনে বাংলা দখলের লক্ষ্যে নেমে তার আগে বিজেপি দুর্গাপুজো করতে শুরু করে। কিন্তু একুশের নির্বাচনের ফলে তাঁদের বিরোধী আসনেই বসতে হয়। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, প্রথা মেনে তিন বছর দুর্গাপুজো করে তাতে ইতি টেনে দেওয়া হবে। তাই এই বছরই রাজ্য বিজেপি’র নামে শেষ দুর্গাপুজো হতে চলেছে। আর সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে এই শেষবারের দুর্গাপুজোর আয়োজন নিয়েও আদি–নব্যের দ্বন্দ্ব আবার প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। সুকান্ত মজুমদারের ছাত্রী সুলতা মণ্ডল এবার বিজেপির দুর্গা🌊পুজোর দায়িত্বে থাকছেন বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, এই দ্বন্দ্ব নি🦩য়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে অনেকে উষ্মাপ্রকাশ করেছেন। সুতরাং মহালয়ার ঠিক প্রাক্কালে দুর্গাপুজো নিয়েও বঙ্গ–বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল বেআব্রু ♋হয়ে পড়ল। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে দু’দিনের মধ্যে বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা সুকান্ত মজুমদারের। এই বিষয়ে বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের আহ্বায়ক অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, ‘পুজোর দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে, সেটা দলের সিদ্ধান্ত। গত দু’বছর সাংস্কৃতিক সেলই পুজো করেছে। এই বছর উত্তর কলকাতার নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দুর্গাপুজোর আয়োজন নিয়ে খুব শীঘ্রই সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কথা হবে।’
কেমন আদি–নব্যের দ্বন্দ্ব লেগেছে? বঙ্গ–বিজেপির নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দলের ব্যানারে তাঁরা আর দুর্গাপুজো করবেন না। একবার দুর্গাপুজো করলে পরপর তিন বছর তা করতেই হয়। বিজেপি তাই এই বছর তৃতীয় তথা শেষ পুজো করবে। ২০২০ সালে তারা প্রথম দুর্গাপুজে෴া করেছিল। ইজেডসিসি অডিটোরিয়ামে বিজেপির দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছিল সাংস্কৃতিক সেল। আর পুজোয় সংকল্প করেছিলেন বিꩲজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এই বছর সেই প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমন্ত্রণ পাননি দলের পুজোর বৈঠকে। দলের সাংস্কৃতিক সেলের নেতারাও এখনও ডাক পাননি। এবারের দুর্গাপুজোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের উত্তর কলকাতা সাংগঠনিক জেলার মহি෴লা এবং যুব মোর্চার উপরে। আর সেটা সম্পূর্ণ আদি নেতাদের না জানিয়েই করা হয়েছে।