বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। আর তা কিছুতে💦ই মেনে নিতে পারছেন না বিজেপি নেতারা। একবার কুশপুতুল দাহ করছেন, টুইট করে আক্রমণ করছেন এবং কখনও ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। পায়ের তলার মাটি যে উত্তরবঙ্গে আলগা হতে শুরু করেছে সেটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। এবার এই বিধায়কের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইনে বিধায়ক পদ খারিজের বিষয়ে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। তবে তার আগে উত্তরবঙ্গের এই দলবদলু বিধায়কের কাছে তাঁর দলীয় অবস্থান জানতে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটতে চলেছে? তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে এসে যোগ দিলেও তিনি বলে ছিলেন সৌজন্য সাক্ষাৎ। তাতে আরও অস্বস্তি বাড়ে বিজেপির। এমনকী൩ তাঁকে উত্তরীয় পরানো হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা দেওয়া হয়নি হাতে। তার ফলে তিনি কোন দলে আছেন তা বুঝতে পারছেন না বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। তাই সূত্রের খবর, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই চিঠিটি পাঠানো হবে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ককে। ওই চিঠিতে সুমনকে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে বলবে বিজেপি। বিজেপি পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে এই চিঠি পাঠাবেন মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা।
কেন এমন সিদ্ধান্ত বিজেপির? একদিকে সামনেই বিধানসভার অধিবে🔥শন। সেখানে বিজেপির বেঞ্চে বসে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে সওয়াল করলে অস্বস্তি বাড়বে। আবার সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে আলিপুরদুয়ারে ফল খারাপ হতে পারে বিজেপির। এইসব ভেবেই পত্রাঘাতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এটা একটা সুযোগ দেওয়া বলেও মনে করা হচ্ছে। তবে তাঁর দিক থেকে কোন উত্তর না পেলে ♐স্পিকারের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানাবে বিজেপি।
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিকে সুমন কাঞ্জিলাল বিজেপি ছেড়ে দেওয়ায় রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। অন্যদিকে স্বয়ং💮 বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা তড়িঘড়ি বাংলা সফরে আসছেন। ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি বাংলায় আসছেন। তবে বাজেট অধিবেশন চলাকালীনই স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হবে বিজেপি পরিষদীয় দল। ইতিমধ্যেই প্রমাণ হিসেবে তৃণমূল কংগ্রেসের ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডলে প্রকাশিত সুমনের যোগদান সংক্রান্ত যাবতীয় পোস্টের স্ক্রি🍸নশট জমা দেওয়া হবে। এমনকী সুমন কাঞ্জিলাল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে কী বলেছেন সেসবও প্রমাণ আকারে দেওয়া হবে স্পিকারের দফতরে। বাজেট অধিবেশন শুরুর আগেই বিজেপি পরিষদীয় দলের একটি বৈঠক হবে। সেই বৈঠকের পরেই চিঠি পাঠানো হবে সুমনকে।