মুকুল রায় এখন নয়াদিল্লিতে আছেন। তিনি অনড় বিজেপিতে ফিরবেনই। আর বিজেপি তাঁকে নিতে নারাজ। কয়েকদিন আগে তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে নয়াদিল্লিতে এসে হাজির হন। ছেলে শুভ্রাংশু রায় তখন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। তবে ওখান থেকেই তিনি বার্তা দেন যে, নয়াদিল্লিতে এসেছেন। তারপর সময় কেটেছে আর তিনি এখনও বাংলায় ফেরেননি। বিজেপি▨র কোনও শীর্ষনেতার সঙ্গে তাঁর বৈঠকও হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বাংলার বিজেপি পরিষদীয় দল জানিয়ে দিল নিজেদের অনড় সিদ্ধান্ত। মু💃কুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে তাঁরা অনড়। কোনও অবস্থাতেই সেই আবেদন প্রত্যাহার করা হবে না।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে তিনি কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জয়ী হন। কিন্তু ফলাফলের পর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ফ♊িরে আসেন। তখন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকার বিমান বন🌸্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন। তা নিয়ে জল অনেকদূর গড়ায়। এমনকী বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হন। যদিও আদালতে শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন এখনও বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু এখন যতই মুকুল রায় নয়াদিল্লি গিয়ে পড়ে থাকুন তাঁকে নিতে প্রস্তুত নয় বঙ্গ–বিজেপির নেতারা।
এদিকে নয়াদিল্লি থেকে এক স📖ংবা♐দমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসে তাঁর কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। 𒁏তাই বিজেপিতে ফিরতে চান। যদিও মুকুলের এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে জানান, মুকুল রায় যখন দলত্যাগ করেছিলেন তখন তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ–সভাপতি ছিলেন। তাই তাঁর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই। আর বিধানসভার বিরোধী দলনেতা জানিয়েছিলেন, দলছুট কোনও বিধায়ককে নিতে আগ্রহী নন তিনি। ফলে মুকুল রায়কে নিয়ে এই অবস্থান একেবারে স্পষ্ট।