লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বড় ঘোষণা করলেন কলকাতা হাই🧸কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি শীঘ্রই ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিতে চলেছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। মঙ্গলবারই তিনি বিচারপতির পদে ইস্তফা 🉐দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে রাজ্য–রাজনীতিতে এটাই এখন বড় খবর। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তারপর রাজনীতিতে আসবেন এটাই পাকা খবর। সুতরাং গোটা নিয়োগ দুর্নীতি এখন প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। তাহলে যে চাকরিপ্রার্থীরা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সুবিচারের আশায় আসতেন, তাঁদের কী হবে? এই প্রশ্ন এখন উঠতে শুরু করেছে।
তবে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্বয়ং। বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে 𝓀বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘খুব বেশি কিছু আমার বলার নেই। বিচারপতি হিসাবে অসহায় মানুষগুলিকে পরামর্শ দিতে পারতাম, যে আপনি লিগাল এডে যান অথবা কোনও আইনজীবীকে হয়তো বলতাম, ওঁর কেসটা দেখুন। দেখে, যা করার করুন। এভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করতাম। এটা একেবারেই ব্যতিক্রমী, আমি আমার ২৪ বছরের আইনজীবী জীবনে কোনও বিচারপতিকে এমন কোনও কথা বলতে বা অসহায়ের পাশে দাঁড়াতে দেখিনি।’
আরও পড়ুন: বোলপুরে বিজেপি প্রার্থ🍷ীর ইতিহাস কী? অনুব্রত গড় এখন নেই দাবি প্রিয়া সাহার
এবার অসহায়দের সাহায্য করবেন কে? বিচারপতি নিজেই এই প্রশ্নেরও উত্তর দেন। এই ঘটনার পর যাতে কেউ হতাশ হয়ে না পড়েন তার জন্য বার্তা দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘আর বিচারপতি হওয়ার পরে কোর্টরুমে কী হচ্ছে, সেটা তো দেখতে পাই না। সেটা বলতে পারব না। 🌱তবে আমি মনে করেছি, আমার দেশের মানুষ এখন খুব অসহায়। লেখাপড়া জানা মানুষও যখন কোনও আইনি সমস্যায় পড়েন, তাঁরাও খুব অসহায় বোধ করেন। ওঁদের যতটা পেরেছি, আমার বোধবুদ্ধি দিয়ে ক্ষমতার মধ্যে থেকে বলেছি। সেটা তো আর আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আশা করব, তাঁরা আদালতের অন্যান্য বিচারপতিদের সহযোগিতা পাবেন।’