এবার আরজি কর কাণ্ডে সত্য উদ্ঘাটনের স্বার্থে কলকাতা পুলিশের ফোর্থ ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে হাজির হলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ব্যারাকেই 'ঘাঁটি' ছিল আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের। এই আবহে সঞ্জয়ের বিষয়ে জানতে এবং আরও তথ্য প্রমাণ হাতে পেতে ব্যারাকের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারে সিবিআই। রিপোর্ট অনুযায়ী, পুলিশ জানতে পেরেছিল যে আরজি কর কাণ্ডের পর হাসপাতাল ছেড়ে এই ব্যারাকেই এসেছিল সঞ্জয়। সেই ব্যারাক থেকেই পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয়কে। (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে আরও কোণঠাসা মমতা? প্রতি♏বাদী চিকিৎসকদের পক্ষেই বার্তা লালুর)
আরও পড়ুন: আরজি কর ক🎀াণ্ডে সাম🍃নে নয়া তথ্য, সেই অভিশপ্ত রাতে যৌনপল্লিতে গিয়েছিল ধৃত সঞ্জয় রায়
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এবার 'রাত দখল' বাংলাদেশে, সমাবেশ হল ঢাকা-🐷চট্টগ্রামে
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন রাত ১১টা নাগাদ আরজি কর হাসপাতালের সিসিটিভিতে অভিযুক্তকে দেখা যায়। এর কিছু পরে সঞ্জয় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায়। পরে আবার হাসপাতালে ফেরে সে। সেমিনার হলের কাছে সিসি ক্যামেরায় তাঁকে দেখা যায় ভোর ৪টে নাগাদ। ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট পর সেখান থেকে আবার বেরিয়ে যায় সঞ্জয়। এদিকে পুলিশ দাবি করেছিল, ঘটনার রাতে সঞ্জয় সেমিনার হলে ছিল। এদিকে এই নৃশংস অপরাধের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা এখন খতিয়ে দেখছে সিবিআই। এর আগে জানা গিয়েছিল, অপরাধের জায়গা থেকে পুলিশ একটি ব্লুটুথ ইয়ারফোনের ছেঁড়া অংশ পেয়েছিল। সেই তারটি সঞ্জয়ের ইয়রফোনেরই অংশ বলে জানা গিয়েছে। এদিকে সঞ্জয়ের মোবাইল টাওয়ার ঘটনার সময় হাসপাতালে ছিল। এই আবহে ঘটনা সামনে আসার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল সঞ্জয়কে। (আরও পড়ুন: 'সেই রাতে সেমিনার হলে সন্দীপ...', আরজি কর কাণ্ডে♎ সামনে আরও বিꦆস্ফোরক অভিযোগ)
আরও পড়ুন: ধীরে ধীরে ফাঁস হচ𓆉্ছে রহস্য, আরজি কর হসপাতালে হামলা চালানো ব্যক্তিদের পরিচয় কী?
আরও পড়ুন: 'জড়িত থাকতে𒊎 পারে...', মমতার ১০ লাখ 𝔉খারিজের পর CBI-কে কী বললেন নির্যাতিতার বাবা?
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট সকালে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চারতলায় এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে যে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। দেহ যখন উদ্ধার করা হয়েছিল, তখন তাঁর পোশাক অবিন্যস্ত ছিল। যে সেমিনার হল থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। সেই পরিস্থিতিতে হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রিপোর্ট অনুযায়ী, তরুণী চিকিৎসকের দুই চোখ দিয়েই রক্তক্ষরণ হয়েছিল। তাঁর মুখেও রক্ত ছিল। এছাড়া যৌনাঙ্গে ক্ষত, মুখে, নখে, পায়ে, পেটে, হাতে, ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তে নাকি জানা গিয়েছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে সেই তরুণীকে। এদিকে সেই চিকিৎসকের গলাতেও ক্ষত ছিল বলে জানা যায়। রাত তিনটে থেকে সকাল ছ'টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কার্পেটের উপর থেকে একাধিক চুল পাওয়া গিয়েছে। নীল রঙের কার্পেটে মেলে ছোপ রক্তের দাগ। এই সবের মাঝে সঞ্জয় রায় বলে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে এই ঘটনা মূল অভিযুক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত। এমনকী 'ভি🍎তরের লোক' জড়িত বলে অভিযোগ উঠছে।