৫০০ টাকার নোট হোক বা ২০০ টাকার নোট, দেখতে হুবহু আসলের মতোই। পার্থক্যটা হল ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’র জায়গায় লেখা রয়েছে ‘চিলড্রেন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’ এবং নোটের নম্বরের জায়গা লেখা রয়েছে ‘ফুল অফ ফান’। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে গত পাঁচ বছর ধরে এই জাল ন🌠োটচক্র সক্রিয় রয়েছে। এবার কলকাতাতেও মিলল এই ধরনের জাল নোট। যদিও এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশ এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি তবে অভিযোগ পেলেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
কিছুদিন আগেই বাꦺজার করতে গিয়ে এমনই জাল নোট পেয়েছেন ꧒ইএম বাইপাসের কাছে একটি হাউজিং কমপ্লেক্সের বাসিন্দা শর্মিলা দাশগুপ্ত নামে এক বৃদ্ধা। সোমবার তাঁর পরিচারিকা বাজারে গিয়েছিলেন। সবজি কেনার পর তিনি সবজি বিক্রেতাকে ৫০০ টাকার নোট দিয়েছিলেন। তার পরিবর্তে তাঁকে ২০০ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন ওই সবজি বিক্রেতা। প্রথমে 🍷ওই পরিচারিকা নোটটি ভালোভাবে লক্ষ্য করেননি। এরপর একটি ফলের দোকানে ফল কিনতে গিয়েই ওই নোট♊ দেখে তিনি হতবাক হয়ে যান। ফল বিক্রেতা জানান, ওই নোটটি জাল। পরে তিনি আবার সবজি বিক্রেতার কাছে ছুটে যান। কিন্তু, সবজি বিক্রেতা তা ফেরত নিতে অস্বীকার করেন।
এই অবস্থায় এই ধরনের জাল নোটের কারবার রোখা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন শর্মিল♓া দেবী। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজে অনেক প্রবীণ নাগরিক রয়েছেন এবং আমরা বাজার করা সহ বিভিন্ন কাজের জন্য পরিচারিকাদের পাঠিয়ে থাকি। দুর্ভাগ্যবশত, তারা পড়তে এবং লিখতে পারে না। ফলে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা খুব সহজ।' পূর্ব যাদবপুর পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেলেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।