আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যে খুলছে সরকারি–বেসরকারি স্কুল। ক্লাস হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।💦 তবে একসঙ্গে এক ঘরে বসানো যাবে না সবাইকে, মানতে হবে করোনা–বিধি। সূত্রের খবর, করোনাকালে পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের জন্য ২৮ পাতার গাইডলাইনও প্রকাশ করা হয়েছে। প্রায় ১১ মাস পর স্কুল খুললে মেনে চলতে হবে এই নির্দেশিকাগুলি। এই বিষয়ে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনার জেলাশাসকদের চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
তাই প্রয়োজনীয় সবরকম পদক্ষেপ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নির্দেশিক🐭া জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে—গোটা স্কুল বিল্ডিং জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পডুয়া থেকে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সবাইকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মানতে হবে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং। রুটিন মেনেই সব ক্লাস হবে।
পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের 🐲জন্য দীর্ঘ নিয়ꩵমাবলি বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, সেগুলিরই অন্যতম কয়েকটি—
*মাস্ক পরতে হবে, তবে গ্লাভস, টুপি বাধ্যতামূলক নয়।
*এক মিটারের শারীরিক দূরত্ব মানতে হবে।
*স্কুলে ঢোকার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
*নিয়মিত হাত ধুতে হবে, প্রয়োজনে স্যানিটাইজার রাখত🅺ে হবে।
*টিফিন ভাগ করে খাওয়া যাবে না।
*নিজস্ব জলের বোতল রাখতে হবে।
*ধাতব আংটি বা চেন রাখা যাবে না।
*অসুস্থ থাকলে স্কুলে যাওয়া যাবে না।
*আলাদা আলাদা ঘরে বসাতে হবে পড়ুয়াদের।
*ছাত্র–ছাত্রীদের উপর কড়া নজর রাখবেন শিক্ষকরা।
*আপাতত বন্ধ রাখা হতে পারে খেলাধুলো এবং শরীরচর্চা।
স্কুলে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হলেও এখনই সশরীরে ক্লাস শুরু হচ্ছে না কলেজ–বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রস্তাব মেনে আপাতত অনলাইনে চলবে উচ্চশিক্ষা। ১১ মাস পর স্কুলে ফিরছে নবম থেকে দ্বাদশের প্রায় ৪০ লক্ষ পড়ুয়া। এতদিন পর ক্লাস শুরুর সরকারি স🥃িদ্ধান্তে তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে স্কুলগুলিতে। কোভিড বিধি মেনে কীভাবে পড়ুয়াদের ক্লাস করানো যায়, তা নিয়ে বৈঠক শুরু হয়ে গিয়েছে স্কুলে স্কুলে। পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের স্বার্থে শ♌ুরু হয়ে গেছে ক্লাসরুম জীবাণুমুক্ত করা।