আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচার চলাকালীনই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন দুই চিকি𓂃ৎসক। সেই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিল রোগীকল্যাণ সমিতি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভুল অস্ত্রোপচার নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন দুই চিকিৎসক। শেষে তাঁদের বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। কী কারণে এমনটা ঘটল? রোগীকল্যাণ সমিতির তরফে তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে অস্ত্রোপচার 🎃চলছিল বীরভূমের বাসিন্দা সৌরভকান্তি শীলের। ট্রমা কেয়ারে বঙ্গভঙ্গ বিভাগেই চলছিল তাঁর অস্♋ত্রোপচার। এর নেতৃত্বে ছিলেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। জানা গিয়েছে, ওই রোগী সাইকেল থেকে পড়ে যাওয়ার ফলে তাঁর কনুইয়ের জয়েন্টের হাড় ভেঙে গিয়েছিল। সেই হাতেরই অস্ত্রোপচার হচ্ছিল। অস্ত্রোপচার করছিলেন ৪ জন চিকিৎসক। সেই সময় এখন চিকিৎসক স্ক্রু লাগানোর সময় সমস্যা দেখা দেয়। জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসক ২২, ২৪ নম্বর স্ক্রু লাগানোর বদলে ১৬ ও ১৮ নম্বর স্ক্রু লাগিয়েছিলেন। তারই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অন্য একজন চিকিৎসক। তিনি নির্দিষ্ট স্ক্রু লাগানোর জন্য ওই চিকিৎসককে বলেন। এই নিয়ে চলে বচসা। তখন অন্য এক চিকিৎসক বলেন এভাবে স্ক্রু লাগালে রোগীর হাড় দুর্বল হয়ে যেতে পারে। তখন ১৬ নম্বর স্ক্রু খুলে লাগানো হয় ২০ নম্বর স্ক্রু। এই নিয়ে দুই চিকিৎসকের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়, তারপরই হাতাহাতি। সেই সময় ওটিতে শুয়ে💜 রয়েছেন রোগী, পাশে সক্রিয় হাড় ফুটো করার মেশিন। রোগীর লোকাল অ্যানাস্থেসিয়া করা হয়েছে, কিন্তু ওটি-তে কী ঘটছে, তা তিনি সবটাই শুনতে পান এবং বুঝতে পারেন।