শহর কলকাতার বৃহত্তর এলাকায় এই প্রথম নামতে চলেছে কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) চালিত সরকারি বাস। পুরনো বাসগুলি কালের গতিতে আর চালানোর অবস্থায় নেই। তাই ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই মহানগরীর পরিবহণ মানচিত্রে জুড়ে যেতে চলেছে পরিবেশবান্ধব ৬০টি সরকারি গ্যাসের বাস। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (ডব্লুবিটিসি) অধীনে নতুন জ্বালানি ব্যবহার করে এই নন–এসি বাসগুলি চলবে বলে খবর। কলকাতা শহরের মেট্রোপলিটন এলাকার বাসিন্দারা নতুন এই ঝাঁ–চকচকে বাস পরিষেবা পেতে চলেছেন। কলকাতা শহরে দূষণ বাড়ছে। আর তা কমাত🏅ে জোর দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। আর তাই কলকাতায় প্রথম এবার সিএনজি চালিত বাস চালু হচ্ছে। প্রাকৃতিক গ্যাসের পাম্পিং স্টেশন সংখ্যা বাড়লে আগামী দিনে এই বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
এদিকে দু’দিন আগে রুবি মোড়ে সিএনজি চালিত অ্যাপ ক্যাব চালকরা পথ অবরোধ করেছিলেন। কারণ পাম্পিং স্টেশনের অভাবে তাঁরা পরিষেবা দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ। সেটা দ্রুত মিটে যাবে বলে বার্তা দেয় রাজ্য সরকার। তাতে অবরোধ ওঠে। এবার এই সিএনজি বাস রাস্তায় নামলে গ্যাসের পাম্পিং স্টেশনও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। তাতে আর অসুবিধা হবে না। এই বিষয়ে ডব্লুবিটিসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর অংশুল গুপ্তা বলেছেন, ‘চলতি মাসের মধ্যেই ৬০টি সিএনজি বাস আসবে। যাত্রী পরিষেবার মানকে আরও উন্নত করতেই না🎃না রুটে এই বাস চালানো হবে।’ প্রত্যেকটি বাস টার্মিনাসে সরকারি বাস রুটগুলির বিস্তারিত বিবরণ দেবে ডব্লুবিটিসি বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে আপাতত নন–এসি বাস নামানো হচ্ছে শহরের রাস্তায়। সেক্ষেত্রে ভাড়াও জনসাধারণের সাধ্যের মধ্যেই থাকবে। তার কি𝐆ছুদিনের মধ্যেই এসি–বাস নামানো হবে। তখন গরমও পড়বে। অফিসযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ এসি–বাস খুঁজবেন। সেটাও মেটানোর ব্যবস্থা করছে ডব্লুবিটিসি। এমনিতে শহরে এসি বাস আছে। কিন্তু সিএনজি এসি বাস খুব একটা 🌼নেই। বরং ব্যাটারি চালিত ইলেকট্রিক এসি বাস আছে। বাস স্ট্যান্ড যেগুলি থাকবে সেখানে ডিজিটাল বোর্ড ব্যবহার করে রুটের তথ্য দেওয়া থাকবে। এই সিএনজি নন–এসি বাসগুলিতে চড়ে জনগণ আরামে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবেন। আর সিএনজি গ্যাসের সমস্যা মেটাতে হাওড়া, বারাসত এবং টালিগঞ্জে গ্যাসের স্টেশন চালু করা হচ্ছে। সরকারি বাস ডিপোগুলিতে এই স্টেশন হবে। বেঙ্গল গ্যাসকে এই বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউটাউনে হতে চলেছে ইনফোসিসের 🅠নতুন ক্যাম্পাস, বিপুল বিনিয়োগ-কর্মসংস্থানের সুযোগ
এছাড়া পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এই গোটা বাস পরিষেবার ব্যবস্থাটি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যম꧃ে করা হবে। দিনে বা রাতে যাত্রীরা সেই লিখিত বার্তা পড়তে পারবেন সহজেই। আর কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএনজি’র জোগান বৃদ্ধিতে বিশেষ চুক্তি করেছিল রাজ্য সরকার। দুর্গাপুর থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে এই গ্যাস কলকাতায় আসার কথা ছিল গেইলের। কিন্তু জমিজটে এখনও সেই পাইপলাইন পাতার কাজ গড়ে ওঠেনি। এখন দুর্গাপুর থেকে ট্যাঙ্কার করে আট ঘণ্টা পথ পেরিয়ে কলকাতায় গ্যাস পাঠাচ্ছে গেইল। তাতে চাহিদা মিটছে না।