খাস কলকাতার পশ এলাকায় করোনা রোগী রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন! শুনতে অবাক লাগলেও এখন এটাই বাস্তব। তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। কিন্তু তাঁকে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। কারণ, তাঁর বাড়িতে নিভৃতবাসের স্থান নেই। এই খবর চাউর হতেই আশঙ্কায় ভুগতে শুরু করেন পাড়া–পড়শিরা। বাধ্য হয়ে তাঁরা ১০০ নম্বরে ডায়াল করেন। তখন স্বাস্থ্য দফতরের অ্যাম্বুল্যান্স এসে নবকুমার মণ্ডল নামের ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন পড়শিরা।ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সবত্রে খবর, নবকুমারবাবুর বাড়ি ঢাকুরিয়া এলাকায়। তাঁর ৬ জনের সংসার। কিন্তু ঘর বলতে মাত্র একটি। সঙ্গে একফালি রান্নাঘর। সুতরাং জায়গার অভাব। নিভৃতবাসের সুযোগ নেই সেখানে। উলটে পরিবারের অন্যদের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। তাই বাড়ির বাইরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। এই দেখে পড়শিরা যোগাযোগ করেন স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে। কিন্তু বেলা পর্যন্ত তাদের কোনও উদ্যোগ না দেখে ১০০ ডায়ালে যোগাযোগ করা হয়। তখন অ্যাম্বুল্যান্স এসে রাজারহাট সিএনসিআই–তে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয় নবকুমারকে।জানা গিয়েছে, করোনা পরীক্ষার পর নবকুমারবাবুর রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসে। শ্বাসকষ্ট কমাতে অক্সিজেন দেওয়া হয় তাঁকে। তারপরে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বাড়িতে ফিরে নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু নিভৃতবাসে থাকার মতো কোনও জায়গা নেই নবকুমারের। মঙ্গলবার রাতটা তিনি ঢাকুরিয়াতেই একটি রাজনৈতিক দলের অফিসে কাটান। তারপর থেকেই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান। যা দেখে চমকে যান পড়শিরা। তাঁদেরই একজন জানান, হাসপাতালের উচিত ছিল শহরের সেফ হোমে পাঠানো।আমাদের সংক্রমণের ভয় যেমন ছিল, তেমন ওরও তো চিকিৎসার প্রয়োজন।