নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার দায়ে গৃহশিক্ষককে ১৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনাল আলিপুর আদালত। শুক্রবার এই রায় দেন অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজের পকসো আদালত। প্রায় ৬ বছর বিচারপ্রক্রিয়া চলার পর এল এই রায়। রায়ে খুশি নির্যাতিতার পরিবার।২০১৭ সালের ২০ নভেম্বরের ঘটনা। বজবজ থানা এলাকার দশ বছর বয়সী ওই ছাত্রী পড়তে গিয়েছিলেন গৃহশিক্ষক লাল্টু নস্করের কাছে। সেদিন লাল্টুর বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগে সে নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। ওই রাতেই বজবজ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার মা। পরদিন লাল্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।৬ বছর পর সেই মামলার রায় দিল আলিপুরের পকসো আদালত। সাজা ঘোষণা করে অভিযুক্ত লাল্টুকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের কারাবাসের সাজা ঘোষণা করেছেন তিনি। এছাড়া নাবালিকার পরিবারকে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।সেদিনের নাবালিকা আজ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার দোরগোড়ায়। আদালতের রায়ে খুশি সে ও তার পরিবার। এই রায়ের জন্য পুলিশ আধিকারিক ও সরকারি আইনজীবীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার স্লথগতি নিয়ে। নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার মামলার বিচার শেষ হয়ে রায় বেরোতেই যদি ৬ বছর লাগে তাহলে বাকি মামলার ক্ষেত্রে কী হবে?