বাংলায় সিপিআইএম এখন কোনও আন্দোলনে নেই। পার্টি কেবল ঘোষিত কর্মসূচিতে পালন করেই ক্ষান্ত থাকছে। হাওড়া জেলা সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সিপিআইএমের পলিটবুরোর সদস্য হান্নান মোল্লা। আন্দোলন কাকে বলে নয়াদিল্লির কৃষক সংগঠনগুলি তা দেখিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এম𒁏নকী আন্দোলনে না থাকলে মানুষের আস্থা অর্জন করা সম্ভব নয় বলেও তাঁর মত। এই মন্তব্যে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা।
ঠিক কী বলেছেন হান্নান মোল্লা? এদিন রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের উপস্থিতিতেই বর্ষীয়ান পলিটব্যুরো সদস্য বলেন, ‘রাজ্যে দল এখন কর্মসূচির ভিত্তিতে চলছে। কোনও আন্দোলনে𒀰 নেই। কর্মসূচি পালন আর আন্দোলন এক জিনিস নয়। রুটিন কর্মস💧ূচি পালন করে কখনও দাবি আদায় করা যায় না। এই রাজ্যে দীর্ঘদিন দল কোনও আন্দোলনের পথে হাঁটছে না। দাবি আদায় করতে হলে দরকার আন্দোলনের। যেটা দিল্লিতে কৃষক সংগঠনগুলি করে দেখিয়েছে। এমন ধরনের আন্দোলন দরকার।’
এই রাজ্যে সিপিআইএমের করুন দশা। তাই বিকল্প হিসাবে বিজেপি উঠে এসেছে। এখন রাজ্য বিধানসভায় বিজেপꦰিই প্রধান বিরোধী দল। সিপিআইএম একটিও আসন পায়নি একুশের নির্বাচনে। কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে ভোট বাড়লেও আসন সংখ্যা উল্লেখযোগ্য বাড়েনি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সম্পাদক–সহ অন্যান্য নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য বেশ চাপে ফেলে দিয়েছে তাঁদের।
এখানেই হান্নান মোল্লাকে বলতে শোনা যায়, ‘কৃষকদের সংগঠিত করতে প্রস্তুতি চলেছিল দশ বছর ধরে। প্রথমে কৃষকরা নিজেদের ঘরে ঘরে প্রতিবাদে সংগ♎ঠিত হন। পরে তা ছড়িয়ে দেন নিজেদের আত্মীয়স্বজনের মধ্যে। আর তারপর তা প্রসারিত হয় পাড়ায় পাড়ায়। অবশেষে আন্দোলনের আকারে ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশজুড়ে। এই আন্দোলনের কাছে কেন্দ্রীয় সরকার নতিস্বীকার করতে বাধ্য হয়।’ অর্থাৎ এটাই যে পথ সেটা প্রকারান্তরে রাজ্য নেতাদের 💎বুঝিয়েদিলেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে।