জলে মাছ ভাসবে এবং ভেসে উঠবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু জলে মরা মাছ ভেসে উঠবে সেটা স্বাভাবিক ঘটনা নয়। এটা অস্বাভাবিক। এই অস্বাভাবিক ঘটনাই ঘটেছে দক্ষিণ 🦩কলকাতার ফুসফুস তথা রাজ্যের একমাত্র জাতীয় সরোবর, রবীন্দ্র সরোবরে। আর তাতেই তৈরি হল আলোড়ন। এমন ঘটনা অবশ্য রবীন্দ্র সরোবরে আগেও ঘটেছিল। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি সরোবরের জলে দূষণ? রবীন্দ্র সরোবরের জলে দূষণ নেই বলেই দেখা গিয়েছে। শহরের বুকে অক্সিজেন নেওয়ার একটা জায়গা হল এই জলাশয়। আর সেই সরোবরের জলাশয়ে রবিবার এমন দৃশ্য দেখা গেল বলে খবর। কয়েকজন প্রাতঃভ্রমণকারী এই ঘটনা দেখতে পেয়ে শোরগোল ফেলে দেন। জাল ফেলা তোলা হয় একগুচ্ছ মরা মাছ।
জলের দূষণে কি মাছ মরে যাচ্ছে? ২০২২ সালেও একবার একই ঘটনা ঘটেছিল। তখন প্রথমে মনে করা হয়েছিল জলে দূষণের জন্য মাছ মরে যাচ্ছে। তারপর রবীন্দ্র সরোবরের জল আরও পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন করে তোলা হয়। এমনকী সেটা নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। যদিও এই লেকের দায়িত্বে থাকা🍌 কেএমডিএ রক্ষণাবেক্ষণ করে চলেছে। আসলে এই জলাশয়ে মাছের জন্য অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাচ্ছে। আর অক্সিজেনের এভাবেই মাছগুলি মারা যাচ্ছে। এই ঘটনা আগেই জানতে পারা গিয়েছিল। তাই লেকের জলের মাঝখান বরাবর ফোয়ারার ব্যবস্থা করা হয়। যাতে অক্সিজেন পূরণ হয়।
তাহলে আবার এমন ঘটনা কেন ঘটল? কেএমডিএ’র পক্ষ থেকে তখন আশ্বাস দেওয়া হয় জলে অক্সিজেনের ভারসাম্য বজায় রাখার ব্যবস্থা করা হবে। সেটা করাও হয়। তারপর এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলছেন স্থানীয় বাসি🦄ন্দারা। কারণ বছর ঘুরতেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। জলের মধ্যে মাছ মারা যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় হযে উঠেছে রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন বাসিন্দাদের কাছে। মাছের মড়ক তো এমনি লাগে না। নিশ্চয়ই কোনও ঘটনা ঘটছে, যা জানতে দেওয়া হচ্ছে না। এমন আলোচনাও লেক থেকে শোনা যা🧜চ্ছে। যদিও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলা🤪য় পদ্মার ইলিশ এলেও তা কেনা যাচ্ছে না, ক্রেতাদের হাতে লাগছে বেদম ছ্যাঁকা
আর কী জ♛ানা যাচ্ছে? জলাশয়ে দূষণ হলেই অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। আর এক্ষেত্রে সেটাই হয়েছে বলে সূত্রের খবর। খালি চোখে সেই দূষণ চোখে পড়বে না সবসময়। কিন্তু যাঁরা এগুলি নিয়ে 🉐কাজ করেন অর্থাৎ বিশেষজ্ঞ তাঁরা এমনটাই মনে করেন। রবীন্দ্র সরোবরে মাছের মড়কের পিছনে জলে দূষণই অন্যতম কারণ বলে এখন মনে করা হচ্ছে। যার জেরে অক্সিজেনের পরিমাণ যতটা থাকার কথা তার থেকে কমে গিয়েছে। আর তাতেই ঘটেছে বিপত্তি। লেকের দৈর্ঘ্য অনেক বড়। এখানে বহু মানুষ রবীন্দ্র সরোবরে হাঁটাচলা করেন। কিছু দোকানও রয়েছে। আর সেগুলি থেকেই দূষণ বাড়ছে বলে সন্দিহান সবপক্ষ। তবে নাগাড়ে বৃষ্টির জেরেও জলে বাড়তে পারে দূষণ।