লোকসভা নির্বাচনের আগে মঙ্গলবার ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলেন ২৮টি দলের নেতৃত্ব। এদিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম উঠে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী পদ প্রার্থী হিসেবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খগড়ের নাম প্রস্তাব করেছেন। সেই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তারপর থেকেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনীতিতে। মমতার প্রস্তাবকে মান্যতা দিয়েছেন বিরোধীরা। তবে বাংলায় বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করা কংগ্রেস কীভাবে তৃণমূলের হাত ধরবে তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। প্রথম থেকেই অবশ্য বঙ্গ কংগ্রেসের নেতারা তৃণমূলের সঙ্গে জোটে আপত্তি জানিয়েছেন। মঙ্গলবারের বৈঠকের পর তা আরও প্রকাশ্যে এসেছে। এনিয়ে বঙ্গ কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা দলের আইটি🎀 সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। তাঁর কটাক্ষ, বঙ্গ কংগ্রেসের নেতাদের তৃণমূলের অন্ধ বিরোধিতা করায় উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘লোকসভায় ২ আসন পাবে CPIM’, সমীক্ষা দেখ𝓰ে দেবাংশু বললেন ১ বিধানসভাতেও লিড পেলেই….
নিজের এক্স হ্যান্ডেল পোস্টে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের পরে দেবাংশু লিখেছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি কংগ্রেসের কারোর নাম না নিয়ে অন্য কোনও বিরোধী নেতার নাম নিতেন, তখন বঙ্গ কংগ্রেসের নেতারা বলতেন জোট ভাঙার কৌশল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের সভাপতির নাম নিয়েছেন। এখনও বঙ্গ কংগ্রেস বলছে জোট ভাঙার কৌশল। যেকোনও ক্ষেত্রে অন্ধ বিরোধিতা করায় যদি উদ্দ্যেশ্য হয়, তাহলে আর কিছুই বলার থাকে না।’ উল্লেখ্য, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই কীভাবে বাংলায় কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের উপর অত্যাচার হয়েছে বা কীভাবে সংগঠনকে ভেঙে চুরে দিয়েছে তা বিলক্ষণ জানেন বঙ্গ কংগ্রেসের একাধিক নেতৃত্ব। শুধু বিজেপিকে আটকাতে গিয়ে কীভাবে বঙ্গ কংগ্রেস আর তৃণমূল এক সারিতে বসবেন তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্ব এখনও রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলাতে নারাজ।&nb🌺sp;