বালির পরিবেশ কর্📖মী ও তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনের মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। সিবিআই তদন্তই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। এর আগে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ বহাল রেখে আজ প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যের পুলিশ বা সিআইডি এই ঘটনার তদন্ত করবে না, সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করবে। এই নির্দেশে স্বাভাবিকভাবেই খুশি তপন দত্তের পরিবার।
ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এতদিন সিবিআই যেভাবে তদন্ত করছিল সেভাবেই তদন্ত করবে বলে জানিয়ে♌ছে ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গেল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরেই তাকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন জনৈক ষষ্ঠী গায়েন এবং রাজ্য সরকার। আজ শুক্রবার রাজ্য সরকারের সেই আর্জি খার𒉰িজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ।
তপন দত্ত খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দ♒েশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন♛ বেঞ্চে অভিযুক্ত
২০১১ সালে ৬ মে মাসে গুলি করে খুন করা হয়েছিল তৃণমূল নেতা তপন দত্তকে। সেই ঘটনায়♑ তৃণমূলের নেতা কর্মীসহ ১৩ জনের নাম জড়িয়েছিল। যার মধ্যে নাম ছিল রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়, কল্যাণ বসু, ষষ্ঠী গায়েন-সহ আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার। সেই মামলায় ২০꧑১১ সালের ৩০ আগস্ট প্রথম চার্জশিট পেশ করে সিআইডি। প্রথম চার্জশিটে জানানো হয়েছিল জলাভূমি ভরাট নিয়ে বিবাদের জেরে তৃণমূল নেতা তথা পরিবেশ কর্মী তপন দত্তকে খুন করা হয়েছিল। সেই সময় তপন দত্তের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।
২০১১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ﷺসিআইডি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করলে সেখান থেকে ৯ জন তৃণমূল নেতার নাম বাদ দেওয়া হয়। এরপর ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তথ্য প্রমাণের অভাবে বাকি পাঁচজন অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়ে যান। পরে ২০১৭ সালে কলকাতা হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের নি⛦র্দেশ খারিজ করে দেয়। অভিযুক্তরা সুপ্রিম কোর্টে গেলে হাইকোর্টের নির্দেশকেই বহাল রেখে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
পরে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন তপন দত্তের স্ত্রী প্রতিমা দত্ত। খুনের ১১ বছর পর অবশেষে সে🍰ই ঘটনায় গত জুন মাসে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। এর পরেই সে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্যের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় রাজ্য সরকার এখন সুপ্রিম কোর্টে যায় কিনা সেটাই দেখার।