পূর্ব মেদিনীপুরে প্রতিবেশী তিন কিশোরের গণধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল নাবালিকা। সেই ঘটনায় নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করে গর্ভপাত করানোর নির্দে💙শ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে সেই নাবালিকার গর্ভপাত করানো সম্ভব হল না। ফলে কলকাতার এক হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দিল ওই নাবালিকা।🔯 বর্তমানে ওই নাবালিকা একটি হোমে রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ধর্ষণের ঘটনায় তিন কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে হোমে পাঠিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: নাবালিকার ২৪ সপ্তাহ পর গর্ভপাত, মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট দেখে সিদ্ধান্ত নেꦡ🐠বে HC
গত ২১ অগস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ওই নাবালিকার গর্ভপাত করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতো ওই নাবালিকাকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু, হাসপাতালে চিকিৎসকরা শারীরিক পরীক্ষার পর জানতে পারেন নাবালিকার গর্ভপাত করানো সম্ভব নয়। কারণ তত দিনে ভ্রূণের বয়স হয়ে গিয়েছে সাড়ে ছয় মাস। অনেক ক্ষেত্রেই সাড়ে ছয় মাসেই গর্ভস্থ ভ্রূণ পূর্ণাঙ্গ সন্তানের রূপ নেয় এবং শিশু অনেক ক্ষেত্রেই সাড়ে ৬ মাসেই জন্মায়। চিকিৎসকরা জানান, সিজার করে ওই নাবালিকার শরীর থඣেকে ভ্রূণকে আলাদা করা হলে সে ক্ষেত্রে নাবালিকার ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে। তাই চিকিৎসকরা স্বাভাবিক প্রসবের উপরে আস্থা রাখেন। হাসপাতালে গত ২৪ অগস্ট ওই নাবালিকা ৯০০ গ্রাম ওজনের কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। প্রসঙ্গত, নাবালিকার পরিবার শিশু গর্ভপাত করানোর দাবি জানিয়েছিল তাই আইন অনুযায়ী এখন ওই শিশুর অভিভাবক হল রাজ্য। শিশুটিকে বর্তমানে ‘নিয়োনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে’ রাখা হয়েছে। শুক্রবার নাবালিকাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিশু এবং নাবালিকা দুজনেই সুস্থ রয়েছে। নাবালিকার বক্তব্য, যদি কেউ তার শিশুর দায়িত্ব নিতে চায় তাহলে তাতে তার কোনও আপত্তি নেই। ওই শিশুর প্রকৃত বাবা কে তার জন্য শিশু এবং তিন কিশোরের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হবে। অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ওই নাবালিকা।