মহাষষ্ঠী থেকে বিজয়া দশমী। দুর্গাপুজোর পাঁচদিনে ৩,২৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কলকাতা পুলিশ। সব কটি কেসই নথিভুক্ত করা হয়েছে। আর এই প্রতিটি কেসই দেওয়া হয়েছে মাস্ক না পরার জন্য। অবাক লাগলেও এটাই সত্য। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এই খবর পাওয়া গিয়েছে। যেখানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক সেখানে এভাবে বেপরোয়া হয়ে ওঠার জন্যই কড়া হতে হয়েছিল পুলিশকে।ইতিমধ্যেই দৈনিক করোনার হারে রাজ্য দুই নম্বরে পৌঁছে গিয়েছে। সোমবার পশ্চিমবঙ্গে একদিনে ৪,১২১ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছে। সেখানে প্রথম স্থানে রয়েছে কেরালা এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সুতরাং উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাংলায়। সেখানে বিনা মাস্কে ঘুরে বেড়ানো অত্যন্ত ঝুঁকির বলে মনে করা হচ্ছে।কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘গত এপ্রিল মাস থেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার। বারবার মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেছেন মাস্ক পরার জন্য। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ৩,২৭০ জন মানুষকে মাস্ক না পরার জন্য ধরা হয়েছে।’ এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই পড়ে গিয়েছে।উল্লেখ্য, এই পরিস্থিতি হতে পারে বুঝতে পেরেই ৫ থেকে ১১ তারিখ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযানে নামে পুলিশ। আর তখন ৩০০ জন মানুষকে আটক করা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, ৫০,০০০ টাকা করে রাজ্য সরকার যে অনুদান দিয়েছিল পুজো কমিটিগুলিকে তার অর্ধেক টাকা দিয়ে মাস্ক, স্যানিটাইজার কিনতে হবে।