সম্প্রতি জাল পাসপোর্ট তৈরি নিয়ে ধরপাকড় করতে শুরু করে সিবিআই।𝔉 এবার 𒈔এই তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন তদন্তকারীরা। এই জাল পাসপোর্ট তৈরি করার একটি চক্র রয়েছে। সেই চক্রের সদস্যরা এই জাল পাসপোর্ট তৈরির বরাত পায়। এমনকী পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এমন বরাত দিয়ে থাকে। জঙ্গিদের জন্য জাল পাসপোর্ট তৈরি করা হয়। বাংলাদেশের নাগরিকের নামে পাসপোর্ট তৈরি হয়ে তা চলে যায় আইএসআই–এর হাতে। যাতে এই জাল পাসপোর্ট নিয়ে প্রথমে বাংলাদেশ তারপর ভারতে ঢুকে পড়ার ছক এভাবেই কষা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
এদিকে জেএমবি এবং আকিসের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির স্লিপার সেলের সদস্যরাও জাল পাসপোর্ট তৈরি করত বলে সিবিআই তথ্য পেয়েছে। কারণ জাল পাসপোর্ট দিয়ে বেশ কয়েকজনকে অনুপ্রবেশে সাহায্য করা হয়েছে। তার জেরে এই দেশে কারা ছদ্মবেশে ঢুকে পড়েছে সেটা তদন্ত করে দেখছে সিবিআই। এই চক্রের পাণ্ডারা গত আট মাসে বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। জাল পাসপোর্টের মাধ্যমে এই দেশেᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ অনুপ্রবেশে সাহায্য করে এই চক্র বলে অভিযোগ। সিবিআই জানতে পেরেছে, দুটি রুট দিয়ে এই অনুপ্রবেশ মূলত করে থাকে তারা। এক, বাংলাদেশ হয়ে হিলি সীমান্ত টপকে। দুই, উত্তরবঙ্গ দিয়ে অনুপ্রবেশ করার ছক করা হয়।
অন্যদিকে এই জাল পাসপোর্ট তৈরি করে অনুপ্রবেশ করার মামলায় কলকাতা–সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে এবং গ্যাংটকের ২৫ জন পাসপোর্ট অফিসের কর্তা, একাধিক কর্মী ও এজেন্টের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে সিবিআই। এমনকী কলকাতা ও উত্তরবঙ্গ𒁏–সহ সিকিমের ৫০টি জায়গায় তল্লাশি করা হয়েছে। এক পাসপোর্ট কর্তা–সহ দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। সেখান থেকে সিবিআই অফিসাররা গোটা চক্রের বিষয়ে জানতে পেরেছে। এই জাল পাসপোর্ট যারা তৈরি করত এখন সিবিআই তাদেরও সন্ধান চালাচ্ছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এরকম অভিযোগ নানা সময়ে শোনা যায়। তার তদন্তও চলে। সেটা যেভাবে চলার, চলছে।’
আরও পড়ুন: স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে সিকিম, ভয়াবহ দুর্যোগ কাটিয়ে এবার খুলছেꦉ স্কুল–কলেজ
স🎉িবিআই কী তথ্য পেয়েছে? সিবিআই সূত্রে খবর, এই চক্র অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে রয়েছে। নেপালের একাধিক বাসিন্দার ভুয়ো জন্মের শংসাপত্র, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, স্কুল–কলেজের শংসাপত্র তৈরি করে তাঁদের ভারতীয় পাসপোরꦺ্ট করার ব্যবস্থা হয়। এই জাল পাসপোর্ট তৈরির কাজে দার্জিলিংয়ের এক অফিসার যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করার কাজে অনেকে জড়িত। ঘুষও নেন অনেক অফিসার এমন তথ্যও উঠে এসেছে। সম্প্রতি এক এজেন্ট পাসপোর্ট অফিসারদের ১৮টি পাসপোর্ট এবং পরে আরও ৯টি পাসপোর্ট তৈরির জন্য টাকা দিয়েছিল। এই ঘুষ খাওয়ানো এজেন্টদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।