শীতে রোদ পোহানোর পাশাপাশি প্রতিদিনই সকালে একরত্তি শিশুকন্যার সঙ্গে খেলতে আবাসনের ছাদে যেতেন বাবা সুভাষচন্দ্র পাণ্ডা। তেমনই শনিবার সকালেও ১ বছর ৩ মাসের মেয়েকে নিয়ে ছাদে গিয়েছিলেন তিনি। মেয়েকে ওপরের দিকে ছুঁড়ে ফের হাতে লুফে নিয়ে খেলছিলেন বাবা সুভাষ। এমন সময় হঠাৎ হাত ফস্কে নীচে পড়ে যায় মেয়ে। আর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে চারতলার ছাদ থেকে লাফ দেন বছর চুয়াল্লিশের সুভাষচন্দ্র পাণ্ডা।শনিবার বেহালার পর্ণশ্রী বিশালাক্ষীতলা রোডের এই মর্মান্তিক ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ–পূর্ব রেলের ভিজিল্যান্স বিভাগের কর্মী সুভাষচন্দ্র পাণ্ডার। আর গুরুতর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি তাঁর শিশুকন্যা।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই মেয়েকে ছাদে নিয়ে গিয়ে খেলতেন বাবা। তাঁদের অনুমান, শিশুকন্যাকে নিয়ে লোফালুফি করাটাই কাল হল। লুফে নেওয়ার সময় হাত ফস্কে শিশুটি পড়ে যায়। আর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয় ওর বাবার। দুর্ঘটনার পরপরই ছাদে ছুটে আসেন মৃত সুভাষবাবুর স্ত্রী ও প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে আসে পুলিশও। নীচে সুভাষবাবুকে পড়ে থাকতে দেখা গেলেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না শিশুটির। পরে ফ্ল্যাটের পাঁচিলের ওপারে অন্য এক বাড়ির গাছের নীচ থেকে উদ্ধার করা হয় শিশুকন্যাকে।তড়িঘড়ি সুভাষবাবুকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গুরুতর আহত ওই শিশুকেও প্রথমে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই শিশু। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে সুভাষবাবুর পরিবারে ও ওই এলাকায়।