ফের বিধ্বংসী আগুন বড়বাজারে। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ নেতাজি সুভাষ রোডের ধারে একটি প্লাস্টিকের গুদামে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। শেষপর্যন্ত দমকলবাহিনীর কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে প্লাস্টিকের গুদামে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলবাহিনীকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। এদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছোন কলকাতার পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।| বনফিল্ড লেনের যে গুদামে প্রথমে আগুন লাগে, সেটি বন্ধ অবস্থায় ছিল বলে জানা যায়।স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে ধোঁয়া বেরিয়ে আসতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারাই দমকলবাহিনীকে খবর দেয়। আগুন নেভাতে দমকলের প্রথমে ৭টি ইঞ্জিন আসে। পরে আরও তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছোয়। দমকল সূত্রে খবর, যে গুদামে প্রথমে আগুন লাগে, সেটি বন্ধ অবস্থায় ছিল। গুদামের খুলতে গ্যাস কাটার ব্যবহার করেন দমকল কর্মীরা। গুদামের ভিতর প্রচুর দাহ্য ও রাসায়নিক পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে একতলায় আগুন লাগলেও দ্রুত তা তিন তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছোন কলকাতার পুর প্রশাসক। ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। জানা গিয়েছে, যে বিল্ডিংটিতে আগুন লাগে, সেখানে শিশুদের বন্দুকের ক্যাপ, বেলুন, পিচকারির মতো সামগ্রীও ছিল। সেই কারণে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত তা বিল্ডিংয়ের অন্যান্য তলায় ছড়িয়ে পড়ে। দমকল বাহিনী আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও গোটা ঘটনায় প্রাণহানির কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই জানা যাচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যায় এই বড়বাজারের একটি দোকানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। সদাসুখ কাটরা বাজারে গতকাল সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ একটি দোকানে আগুন লাগে। জানা যায়, ওই বাজারের দোতলায় লক্ষ্মী টেক্সটাইল নামে একটি কাপড়ের দোকানে আগুন লাগে। দমকলের ৪টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যেভাবে পর পর দুদিন এভাবে বড়বাজারের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় এভাবে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটল, তাতে যথেষ্ট আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। দমকল বাহিনীর তৎপরতায় এক ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে এলেও জানা গিয়েছে, ওই বিল্ডিংয়ে কোনও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল না। ফলে এসব জায়গায় পরবর্তীকালে আগুন লাগলে কীভাবে সুরক্ষা মিলবে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। প্রশ্ন উঠে গেল।