সাতসকালে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড বড়বাজারে। জানা গিয়েছে, বড়বাজারে দাহ্য পদর্থ মজুত থাকা একটি গোডাউনে আগুন লাগে। ঘিঞ্জি এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছিল। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। আগুন নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে বড়বাজারে যান বিজেপির উত্তর কলকাতার প্রার্থী তাপস রায়। এরপরই সেখানে তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। (আরও পড়ুন: 'মুসলিমরাই সবথেকে বেশি কন্ডোম ব্যবহার করে', জনসংখ্যা বিতর্𓆏কে মোদীকে জবাব ওয়াইসির)
আরও পড়ুন: হাওড়া ও মালদা থেকে এই ২ রুটে চালু হতে পারে বন্দে ভারত মেট্র✤ো, বড় দাবি রিপোর্টে
জানা গিয়েছে, সকালে পৌনে ছ’টা নাগাদ আগুন লাগে। যে গোডাউনে আগুন লাগে, সেখানে পিচবোর্ড মজুত করে রাখা ছিল। এর জেরে আগুন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে যে গোডাউনে আগুন লাগে, সেটি নাখোদা মসজিদের বেশ কাছে অবস্থিত। তবে আগুন কীভাবে লাগে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে ঘি💦ঞ্জি এলাকায় আগুন যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্যে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। পরে আরও ৭টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ওদিকে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিমও।
আরও পড়ুন: বিধায়কের হয়ে ক্ষমা চাইলেন🐟 খোদ মমতা, মুখ্যমন্ত্রীকে পালটা জবাব তৃণমূল নেতার
এদিকে অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, 'একটা পিচবোর্ডের গোডাউনে আগুন লেগেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেখান থেকে 🔯আশেপাশের দু'টি বাড়ির নীচের তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। যারা ওখানে বসবাস করেন, তাদের সুরক্ষিতভাবে বের করে আনা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। আর যাতে আগুন না ছড়িয়ে পড়ে, তার চেষ্টা চলছে। কুলিং প্রক্রিয়া চলছে। বড়বাজার অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকা, সবাই জানেন। আমরা নিজেদের কাজ করছি। আমি সিনিয়র অফিসারদের ফোন করে দ্রুত এখানে আসতে বলি। আমাদের প্রাথমিক কাজ আগুন নেভানো। তারপর তদন্ত হবে, ফরেন্সিক পরীক্ষা চালানো হবে। তখনই জানা যাবে এই গোডাউন আইনি না বেআইনি। বাগরি মার্কেটে আমরা এক লাখ লিটার জলের ব্যবস্থা করেছি। মানবিকতার খাতিরে একদিনে কারও ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া🎐 যায় না।'
আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে 'নকশাল' আখ্🔯যা মোদীর, সম্পত্তি পুনর্বণ্টন নিয়ে স্পষ্ট করলেন অবস্থান
এদিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘিরে রাজ🐻নৈতিক তরজা শুরু হয়। আগুন লাগার কথা জানতে পেরেই ঘটনাস্থলে যান কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। তবে তিনি সেখানে যেতেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বচসা শুরু হয় বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। তা হাতাহাতিতে পরিণত হয়। তাপস রায়ের অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলর এক বিজেপি কর্মীর গায়ে হাত তুলেছেন। এই আবহে সেই তৃণমূল কাউন্সিরের গ্রেফতারির দাবি তুলেছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিꦯতে যোগ দেওয়া এই নেতা।