উত্তর কলকাতায় পুরসভার কল খুললেই বেরিয়ে আসছে ঘোলা জল। সেজন্য দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনকে (ডিভিসি) দায়ী করলেন কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। সেইসঙ্গে তাঁর আশ্বাস, তিনদিনের মধ্যে জলের সমস্যার সমাধান হবে। রবিবার থেকেই উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় পুরসভার কল থেকে ঘোলা জল বেরিয়ে আসছে। একই ছবি ধরা পড়েছে উল্টোডাঙাতেও। কল খুললেই সাবান ধোয়া জলের মতো ঘোলা জল বেরিয়ে আসছে বলে দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিকেলের দিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনও ঘোলা জল মিলছে। সেই পরিস্থিতিতে পুরসভার কলের পানীয় জল না খাওয়ার জন্য উল্টোডাঙায় প্রচারও চালানো হয়েছে। তবে ঘোলা জলের জন্য ডিভিসিকে দায়ী করেছেন কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান। তাঁর দাবি, ডিভিসি জল ছাড়ার ফলে গঙ্গার জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। জলের মধ্যে মাটির পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে। তার ফলে জলের মান খারাপ হয়ে পড়েছে। সেই জল পরিশোধন করার প্ল্যান্টে দিলেও কোনও লাভ হচ্ছে না। উলটে প্ল্যান্টের মেশিনে মাটি ঢুকে বিপত্তি দেখা গিয়েছে। সেজন্য ঘোলাটে জল আসছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় কয়েকদিন জলের সরবরাহ কম করা হবে। ততদিন কলকাতায় জলের প্রেশার কিছুটা কম থাকবে। ঘোলা জলের সমস্যা দূর করতে জোয়ারের সময় গঙ্গার উপরিভাগের জল নেওয়া হবে। দু'তিনদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন ফিরহাদ। তবে শুধু উত্তর কলকাতা নয়, ঘোলা জলের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দারাও। রবিবার পুরসভা কল থেকে ঘোলা জল বেরোতে থাকে। তার জেরে বন্ধ দেওয়া হয়েছে সরবরাহ। সেই ঘোলাটে জল পান না করার জন্য পুরসভার তরফে প্রচার চালানো হচ্ছে।