দক্ষিণ কলকাতায় গড়ফা এলাকার বহুতল আবাসন থেকে মিলল প্রবীণ দম্পতির ঝুলন্ত দেহ। গড়ফার এই আবাসনে থাকতেন তাঁরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা করেছেন বৃদ্ধ দম্পতি। তবে সব দিক খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। নাতিকে ভাল করে মানুষ করার পরামর্শ দিয়ে চরম পথ বেছে নিলেন দাদু–ঠাকুমা। আজ, বুধবার সকাল▨ে জোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। দেহের পাশেই উদ্ধার হয়েছে একটি ‘সুইসাইড নোট’। এই ঘটনায় রীতিমতো আলোড়ন ছড়িয়ে পড়ে। কেন এমন সুইসাইড নোট লিখলেন তাঁরা? আত্মহত্যা করতে হল কেন? এসব প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, দম্পতির এই মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নন। নাতির প্রসাদের জন্যই তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন। ৮৩/৭এ নম্বর গড়ফার বহুতলে থাকতেন ওই দম্পতি। আজ সকালে প্রত্যেকদিনের মতোই এসেছিলেন বাড়ির কাজের লোক। বারব🌊ার ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি তিনি। তখন প্রতিবেশীদের ডাকেন তিনি। প্রতিবেশীরাও ডাকাডাকি করে সাড়া পাননি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। গড়ফা থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। আর ওই দু’জনের দেহ উদ্ধার করে। মৃত দু’জন হলেন, সুধন্য প্রামাণিক (৬৫) এবং তাঁর স্ত্রী সবিতা প্রামাণিক (৬০)।
এদিকে এই ফ্ল্যাটে ছেলে, ছেলের বউ এবং নাতির সঙ্গে থাকতেন বৃদ্ধ দম্পতি সুধন্য প্রামাণিক এবং তাঁর স্ত্রী সবিতা꧟ প্রামাণিক। আজ, বুধবার সকালে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সুধন্যের ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন। আজ সকালে তাঁরা সেখান থেকে ফেরেন। আর ফিরেই দেখেন এমন ভয়ানক দৃশ্য। প্রবীণ দম্পতির দেহের পাশে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ সেখানে বাড়ির সব চা𓂃বি কোথায় আছে, নাতিকে ভাল করে মানুষ করার পরামর্শ এবং তাঁরা নাতির প্রসাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন—এসব কথা লেখা রয়েছে। ভয় বা হতাশা কি কাজ করছিল? এমন প্রশ্নও ফেলে দিচ্ছে না পুলিশ।
আরও পড়ুন: আজ জ্যোতিহীন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক, দফতরের দায়ি🦩ত্বে কে আ🧸সছেন? শুরু গুঞ্জন
অন্যদিকে এই ঘটনার পর কথা বলা হচ্ছে ওই প্রবীণ দম্পতির আত্মীয়–প্রতিবেশীদের সঙ্গে। নাতির জন্য পুরীর মন্দিরে পুজো দিতেই তাঁর বাবা–মা গিয়েছিলেন। প্রবীণꦦ দম্পতি সেই পুজোর প্রসাদের অপেক্ষা করছিলেন। আজ বুধবার সকালে সবাই বাড়ি ফিরেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্ভবত পুরীর এই প্রসাদের ক𝔍থাই সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন প্রবীণ দম্পতি। পুলিশ দেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে দিয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই পরিষ্কার হবে কেমন করে মৃত্যু হল দম্পতির। পারিবারিক সমস্যার জেরেই এই ঘটনা কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।