সিঙ্গুর থেকে টাটারা চলে যাওয়ার পর থেকেই নানা বদনাম বয়ে বেড়াতে হয়েছে তৃণমূলকে। ন্যান🙈োকে তাড়িয়ে দিয়েছিল টিএমসি এমন কথাও শুনতে হয়েছে তৃণমূলকে। তবে সেসব আজ অতীত। এখন ঘাসফুল শিবির বার বার চেষ্টা করে কীভাবে লগ্নি টানা যায় বাংলায়। এমনকী বিগত দিনে লগ্নি আনার জন্য় বিদেশেও গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
তবে এবার জার্মানি থেকে বাংলায় আসছে লগ্নি। জার্মানির সংস্থা উইনস্রথ এই রাজ্♛যেই স্পেশালিটি ফার্নেস তৈরির করার কারখানা গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। উইনস্রথ ফার্নেসেস ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস মুখোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, আগামী ১ বছরের মধ্যে তারা ৫০-৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন।
কার্যত বিশাল বিনিয়োগ ♈এবার বাংলায়। এবার নিউটাউনে উইনস্রথ ফার্নেসেস ইন্ডিয়া তাদের অফিস খুলেছে। বলা ভালো ভারতে এটা তাদের অন্য়তম ও প্রথম অফিস।
এদিকে এই শিল্পে বিনিয়োগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনেকের মধ্য়েই খুশির হাওয়া। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের মধ্য়ে একমাত্র নিউটাউনে এই কোম্পানি তাদের নতুন অফিস চালু করেছে। চিনে ওদের কারখানা রয়েছে। আমরা ওদের অনুরোধ করেছি এই রাজ্যে কারখানা খুলতে। পূর্ব ভারত𒆙ে প্রচুর ফাউন্ড্রি ও ইস্পাত কারখানা রয়েছে, সেখানে স্পেশালিটি ফার্নেসের ব্যবহার হয়।
এদিকে বাংলায় শিল্প উন্নয়নের বা💎র্তা মানেই কর্মসংস্থানের সཧুযোগ বাড়তে পারে বলেই অনেকে মনে করছেন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্পেনে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পেন সফরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সফরসঙ্গী ছিলেন রাজ্যের পদস্থ আধিকারিকরা। বাংলা থেকে সাংবাদিকরাও গিয়েছিলেন। প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক শিল্প🌸গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা হয়েছিল সেবার। এমনকী মিত্তালদের মতো ভারতীয় শি🐟ল্পগোষ্ঠী যাঁরা বিদেশে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন তাঁদেরকেও বাংলায় ফিরে আসার ব্যাপারে আহ্বান করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বার্সোলোনায় শিল্পোপতি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা💃 বলেছিলেন মমতা। সেখানেই তিনি বলেছিলেন, দেশে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে লড়াই রয়েছে। এবং সেটা থাকবেও। কিন্তু দেশের বাইরে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ই🗹ন্ডিয়ান। সেই সঙ্গেই শিল্প সফরের কোথাও রাজনীতির কথা বলিনি। জানিয়েছিলেন মমতা।
তবে সেই সময় অত্যন্ত তারপর্যপূর⛎্ণভাবে বিদেশের মাটিতে রাজনীতির কোনও প্রসঙ্গ আনেননি মমতা।&ꩵnbsp;
🐽সূত্রের খবর, বিদেশ সফরে গিয়ে সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রী কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলের নাম সেভাবে করেননি। মাদ্রিদ হোক কিংবা বার্সেলোনা আদ্যপান্ত রাজনৈ🍎তিক ব্যক্তিত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় রাজনীতির শব্দ বিশেষ বলতে চাননি বলেই খবর।
তবে এবার মাদ্রিদ থেকে নয়, লগ্ন෴ি আসবে জার্মানি থেকে।