আজ সোমবার থেকে শুরু হল মাধ্যমিক পরীক্ষা। অতীতে বহুবার পরীক্ষার আগে মাধ্যমিকের প্রশ্নপত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। সেই কথা মাথায় রেখেই প্রশ্নফাঁস রুখতে এবার বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত যুক্তিসঙ্গত নয় বলেই মনে করছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, এরফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা তো হবেই, সেই সঙ্গে ব্যাঙ্ক পরিষেবাতেও ব্যাপক প্রভাব পড়বে। সোমবার ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে এখন সাধারণ মানুষকে অসুবিধায় ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার।’ প্রসঙ্গত, ছাত্র জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হল মাধ্যমিক পরীক্ষা। গতবছর করোনা পরিস্থিতির কারণে অফলাইনে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়নি। এবছর পরীক্ষার মাঝেও করোনা সংক্রমণ কিছুটা রয়েছে। তাই করোনা বিধি মেনেই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে। প্রশ্ন ফাঁস রুখতে ইতিমধ্যেই গোয়েন্দারা প্রস্তুত রয়েছেন। সিসিটিভির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে কিন্তু তারপরেও ইন্টারনেট বন্ধ থাকার ফলে ব্যাঙ্ক পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলেই মনে করছেন দিলীপ ঘোষ।তিনি বলেন, ‘সারা দেশে এত বড় বড় পরীক্ষা হয় কিন্তু, কোথাও ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয় না। এভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রেখে জনজীবন ব্যাহত করা হচ্ছে। ব্যাঙ্ক পরিষেবা বন্ধ হতে পারে। ফলে সাধারণ মানুষ ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়বে।’ দিলীপের কটাক্ষ, ‘আমার মনে হয় ডিপার্টমেন্টে থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে সেখানে টাকা পয়সা দিয়ে সবকিছু করা সম্ভব। এমনকি জমির রেকর্ড পাওয়াও যাচ্ছে। এসব রুখতে ব্যবস্থা না নিয়ে ইন্টারনেট বন্ধ করে মানুষকে অসুবিধায় ফেলে একেবারে ঠিক করছে না রাজ্য সরকার।’ প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ,কোচবিহার, মালদা, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর প্রভৃতি জেলাগুলোতে পরীক্ষা কেন্দ্রের কাছে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।