১২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের পত্র–রহস্য উন্মোচন হয়নি এখনও। রাজভবন–নবান্ন তারপর থেকেই মুখে কুলুপ এঁটেছে। চুপচাপ নেতা–মন্ত্রীরাও। আর গুঞ্জন শুরু হয়েছে, রাজ্যের বিরুদ্ধে কড়া নালিশ করেছেন রাজ্যপাল ক✤েন্দ্রের কাছে। আর রাজ্যের কাছে নালিশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও এই চিঠি নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। তাই নয়াদিল্লি এবং নবান্নকে রাজ্যপালের জোড়া চিঠি ঘিরে আরও বেড়েছে রহস্য।
এদিকে সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের বিষয়টি চিঠিতে তুলে ধরা হয়েছে। আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথাও লেখা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজভবনের সামনে ধরনায় বসা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অনুদান বন্ধের মন্তব্যে সাহায্য চাওয়া হয়েছে এই চিঠিতে। সুতরাং কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার পরামর্শও রাজ্যপাল দিয়েছেন। তবে রাজভবন, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। আবার মুখ্যমন্ত্রী দু’দিন পরই বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। তখন কি কোনও অ্যাকশ🤡ন নেওয়া হবে? উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বনাম রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বৈরথ এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। কেন্দ্রের সঙ্গে এই নিয়ে টেলিফোনে কথাও হতে পারে। সে𒉰সব যতক্ষণ না হচ্ছে ততক্ষণ দমবন্ধ পরিস্থিতিই থাকবে। তবে এখন অভূতপূর্ব ‘সাসপেন্স’ তৈরি হয়েছে। বোস এভাবে ফোঁস করে ওঠায় অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু মোটেও চিন্তিত নন। বরং এই লড়াইটা প্রকাশ্যে চলে আসায় এখন ক্ষমতার আস্ফালন দেখা যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষাকে কেউ আর মিশন হিস𝓡াবে নিচ্ছে না, তাই দুর্নীতি’, বিস্ফোরক সৌগত রায়
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? রাজ্যপালকে মহম্মদ বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করা এবং রক্তচোষা বা ভ্যাম্পায়ার বলায় ফায়ার হয়েছেন তিনি। এমনকী ‘রাক্ষস প্রহর’ বলে কটাক্ষ করেছেন ব্রাত্য বসু। তারপরই মাঝরাতে দেখুন কি হয় হুঁশিয়ারিতে তেতে ওঠে রাজ্য–রাজনীতি। আর জোড়া পত্রে তা আরও সংঘাতের আবহ তৈরি হল। যদি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যপাল তো রাত জাগতে চাইছেন। নিশাচরীয় পদক্ষেপ করছেন। যা স্বাভাবিক নয়। কবি বলে গিয়েছেন, ‘জাগরণে যায় বিভাবরী, আঁখি হতে ঘুম নিল হরি’। অর্থাৎ, ব্রাত্য বসু ওঁর ঘুম কেড়ে নিয়েছেন।’ বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভ൲ট্টাচার্যের ব্যাখ্যা, ‘আমি রাজভবনের মুখপাত্র নই। তবে আমাদের স্বাধীনতা লাভও মাঝরাতেই।’