কিছুদিন আগে রাজ্যপাল তাঁর প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তখন তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে পর্যটন দফতরের সচিব করেছিল নবান্ন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবার প্রেস সচিব শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দিলেন। কিন্তু কেন সরিয়ে দেওয়া হল? তার কো✃নও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর রাজভবন থেকে নবান্নে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।
এদিকে রাজভবন থেকে প্রেস সচꦺিব শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কে অব্যাহতি দেওয়ার পর আলোচনা শুরু হয়েছে প্রশাসনিক স্তরে। তবে শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কে নবান্নে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের পুরনো পদে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। রাজ্যপাল কোনও অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেননি। তবে সূত্রের খবর, রাজ্যপাল মনে🦹 করেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় অনেক হিংসার খবর তাঁকে দেওয়া হয়নি। এটা নিয়ে তিনি ঘনিষ্ঠমহলে আলোচনা করেন। তারপরই কেউ একজন তাঁকে প্রেস সচিবকে সরিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। যা শুনে পদক্ষেপ করেন রাজ্যপাল।
অন্যদিকে রাজভবনে প্রেস সচিব পদের জন্য তিনটি নাম তালিকা করে পাঠিয়েছিল নবান্ন। এই তালিকা রাজভবনে আসে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। নবান্নের পক্ষ থেকে তিনজনের নামের তালিকা দে𒁏খেছিলেন রাজ্যপাল। তারপর সেখান থেকে ইন্টারভিউ নিয়ে শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের প্রেস সচিব হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তার পর শুরু হয়েছিল কাজ। সেখানে হঠাৎ কেন তাঁকে রিলিজ করা হল? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রধান সচিবের পর প্রেস সচিবকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে নবান্নেও জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বইমেলা প্রাঙ্গণে পা রাখলেন অভিষেক বন্দ্যোপ𒁏াধ্যায়, কী তথ্য জানলেন মন্ত্রীর কাছে?
আর কী জানা যাচ্ছে? নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়ার পর এখনও রাজ্যপালের প্রধান সচিবের পদটি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। সেখানে কাউকে নেওয়া হয়নি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজভবনে অনেকে আলোচনা করেছেন। তবে এই আলোচনাটা সীমাবদ্ধ রয়েছে অফিসার স্তরে। কেউ এই নিয়ে রাজ্যপালকে কিছু বলেননি। তার মধ্যেই এবার প্রেস সচিবকেও সরিয়ে দেওয়া হল। এমনকী𝓰 শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদে কাউকে নিয়োগ করার জন্য এখনও পর্যন্ত রাজভবনের পক্ষ থেকে নবান্নের কাছে কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি। তাই এই পদটি এখনও ফাঁকা থাকছে বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের নানা বিষয়ে সংঘাত রয়েছে। সেই সংঘাতের আবহে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরানো হয়েছিল। আবার একই আবহে সরানো হল প্রেস সচিবকে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।