পরণে ঘরোয়া আটপৌরে শাড়ি, পায়ে হাওয়াই চটি। একেবারে সাদামাটা জীবন। টালির চালের ঘর থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে বেড়ে ওঠা— মমতা বন্দ্যোপাধ্🃏যায়ের জীবনযাত্রা এটাই। এই ছোট্ট ঘরের বাসিন্দাই আজ পর পর তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনিই নিজের হাতে সামলান বাড়ির কালীপুজোর আয়োজন। পুজোর ভোগ রান্না থেকে কাঁসর–ঘন্টা বাজানো, এই গোটা পর্বটা চাক্ষুষ করলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল লা গণেশন। মমতার বাড়ির কালীপুজোই দেখাতে স্ত্রীকে নিয়ে গেলেন রাজ্যপাল লা গণেশন।
ঠিক কী ঘটল কালীঘাটে? বাড়ির কালীপুজোয় আসার জন্য রাজ্যপালকে কৃতজ্ঞতা জানানো থেকে আপ্যায়ন, কোথাও বিন্দুমাত্র ত্রুটি রাখলেন না মুখ্যমন্ত্রী। ঘড়ির কাঁটা সন্ধ্যে ৭টা পেরোতেই মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে আসেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁদের যেখানে পুজ🍬ো হচ্ছে সেখানে প্রথমে নিয়ে যান। তারপর নিজের বাড়ি ঘুরিয়ে দেখান। নিজের রান্নার ঘর থেকে স্টাডি রুম— সবটাই রাজ্যপালকে ঘুরিয়ে দেখান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর দু’জনেত মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয়।
আর কী দেখা গেল? একদিকে যখন কালীপুজোর✨ আয়োজন চলছে, অন্যদিকে তখন সমাজের সর্বস্তরের বিশিষ্ট মানুষজন এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির মাতৃ প্রতিমা দর্শন করতে। তাঁদের প্রত্যেককে🧜 অভ্যর্থনা জানানো এবং আপ্যায়নে বিন্দুমাত্র ত্রুটি রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আসেন রাজ্যপাল লা গণেশন। প্রায় আধ ঘন্টা ছিলেন তিনি। কালীপুজোর পর্বটা বেশ খানিকক্ষণ দেখেন রাজ্যপাল। এরপর রাজ্যপালকে অভ্যর্থনা জানিয়ে নিজের টালির চালের ঘরে নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জাভেদ খান, অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ শান্তনু সেন, মুখ্যমন্ত্রীর সচিব গৌতম স্যান্যাল, শিল্পী শুভাপ্রসন𓄧্ন ছাড়াও মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব থেকে কলকাতার পুলিশ কমিশনারও আসেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে।