আজ, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি। ইংরেজি নতুন বছরকে সবাই স্মরণীয় করে রাখতে নানা পরিকল্পনা করেছেন। তবে এই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে মধ্যরাতে যে শব্দবাজির তাণ্ডব হল শহরে তাতে অক꧃াল দেওয়ালি বলে মনে করলেন মহানগরবাসী। রাত ১২টার পর✅ শুরু হল নতুন বছরের উদ্যাপনে মানুষের উন্মাদনা। শব্দবাজির তাণ্ডব দেখা গেল উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, শহর থেকে শহরতলিতে। এমনকী সেই তাণ্ডবের সাক্ষী থাকল হাসপাতাল চত্বরও। এটাই ছিল বর্ষবরণের রাত। তবে বর্ষশেষ ও বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে কলকাতাজুড়ে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে কয়েক হাজার পুলিশকর্মী। তারপরও এই শব্দবাজির তাণ্ডব ভাবিয়ে তুলেছে মানুষজনকে।
কেমন ছবি দেখা গেল? নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে নাইট ক্লাবগুলিতে ছিল গান–বাজনা, খানাপিনা এবং মদ্যপানের আসর। নানা জায়গায় বাজল ডিজে’র তীব্র আওয়াজে গান। আর সঙ্গে জুড়ল শব্দবাজি। পাটুলি, কসবায় শব্দবাজির দাপটি ছিল সবচেয়ে বেশি। গড়ে ৭০ ডেসিবেলের উপরে। বাগবাজার, সল্টলেক, টালিগঞ্জ এবং নিউ মার্কেট এলাকায় ফাটল দেদার শব্দবাজি। শহরের হাসপাতাল চত্বরে শব্দবাজির তাণ্ডব দেখা গেল। কোনও নিয়ম মানা হল না। রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্য🌳ন্ত ৪০ ডেসিবলের বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু আরজি কর হাসপাতাল চত্বরেই শব্দের তীব্রতা ছিল ৬১.৫।
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিকে আতসবাজি এবং শব্দবাজি পোড়ানো হওয়ায় কলকাতায় খারাপ হল বায়ুর মান। রাত ১২টার পর বায়ুসূচকের মান ছিল সবচেয়ে খুব খারাপ। শব্দবিধি না মেনে বাজানো হয় মাইক। নববর্ষে শব্দদূষণ প্রতিরোধ করতে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে (ডিজি) চিঠি দিয়েছিলেন পরিবেশ কর্ম𒉰ীরা। ৩১ তার꧒িখ♔ রাতে যে পরিমাণ বাজি ফাটল তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ল পুলিশ–প্রশাসনের ভূমিকা। যদিও এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশকর্তারা।