স্নাতকস্তরের প্রথম সেমেস্টারের পড়ুয়াদের ক্লাস এখন চলছে জোরকদমে। অথচ এখনও পর্যন্ত একাধিক কলেজে🌠র অ্যাকাউন্টে জমাই পড়েনি পড়ুয়াদের ভর্তির ফি। পড়ুয়ারা কি টাকা না দিয়ে ভর্তি হয়েছেন? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু কারণ হিসাবে উঠে এসেছে অন্য তথ্য। এবার কলেজের বদলে কেন্দ্রীয়ভাবে অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে পড়ুয়ারা স্নাতকস্তরে ভর্তি হয়েছেন। সুতরাং ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৬ জন ছাত্রছাত্রীর অ্যাডমিশন ফি আগেই জমা পড়ে গিয়েছে উচ্চশিক্ষা সংসদের ভর্তির বিশেষ অ্যাকাউন্টে।
কেন পায়নি কলেজগুলি টাকা? উচ্চশিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, শীঘ্রই প্রত্যেকটি কলেজ তাদের ভর্তি ফি পেয়ে যাবেন। যেহেতু সেই টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া চলছে তাই দেরি হচ্ছে। যদিও কলেজগুলি সূত্রে খবর, এই ভর্তি ফি’র ক্ষেত্রে কোনও কলেজের পাওনা সাড়ে ২২ লক্ষ টাকা, আবার কারও প্রাপ্য ৫৭ লক্ষ টাকা। সেখানে বড় কলেজগুলির এক–একটি পাবে সাড়ে ৮৫–৮৭ লক্ষ টাকা। গত এক যুগ ধরে কলেজগুলিকে তাদের পড়𒈔ুয়াদের টিউশন ফ🍸ি’র অর্ধেক টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়। তার জেরে আর্থিক টানাটানি থাকে। সেখানে যদি ভর্তির ফি সময়ে না মেলে তাহলে আরও খারাপ অবস্থা হবে।
আরও পড়ুন: নাগাড়ে বৃষ্টিতে পাহাড়–সমতলে জনজীবন বিপর্যস্ত, সিকিমে মরশুমের প্রথম তুষারপাত
এদিকে প্রথম সেমেস্টারের ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ফি না মেলায় কলেজগুলি ল্যাবরেটরির প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম এবং কেমিক্যাল কেনা যাচ্ছে না। আবার প্রত্যেক ক𝄹লেজে আছে প্রচুর ক্যাজুয়াল ওয়ার্কার। দুর্গাপুজোর মুখে তাঁদের ভাতা, বোনাস এবং অগ্রিমও দেওয়া যাচ্ছে না। আটকে রয়েছে ভিজিটিং টিচারদের সাম্মানিক। আবার অনেক টাকার বিদ্যুৎ বিল মেটাতে হয় কলেজগুলিকে। স্༒নাতক প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের ভর্তি ফি বাবদ বিপুল অঙ্কের টাকা না মিললে চিন্তায় ঘুম উড়েছে অধ্যক্ষদের। যদিও উচ্চশিক্ষা দফতরের এক অফিসারের বক্তব্য, ‘কলেজের ভর্তির ফি মেলা পুরোপুরি উচ্চশিক্ষা সংসদের বিষয়। বিকাশ ভবনের কিছুই করার নেই।’
তাহলে কি মিলবে না টাকা? অন্যদিকে এই বিষয়ে সংসদে🤡র এক অফিসার বলেন, ‘কলেজের প্রাপ্য ভর্তি ফি বাবদ বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে কলেজের পক্ষ থেকে ডিমান্ডের অ্যাপ্রুভাল সাইটে দেখা যাচ্ছে না। যে টাকাটা কলেজের প্রাপ্য সেটা ওরা এখনও চায়নি।’ আর আশুতোষ কলেজের অধ্যক্ষ মানস কবির বক্তব্য, ‘পোর্টালের মাধ্যমে পড়ুয়াদের ভর্তির নিরিখে এক–একটি কলেজের কত টাকা প্রাপ্য, সেটা উচ্চশিক্ষা সংসদই তথ্য পাঠিয়েছিল। আমরা অনেক আগেই তা অনুমোদন করে কলেজের ব্যাঙ্ক ডিটেলস সংসদে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখনও সেই টাকা না পাওয়া দুর্ভাগ্যজনক।’ সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল করের কথায়, ‘সংসদ দিচ্ছি দিচ্ছি করেও দিচ্ছে না। কলেজ চালাতে সমস্যায় পড়ে যাচ্ছি।’