নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে হতাশ মুখ্যমন্ত্রী মমত𓆉া বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি জানার পরেও কোনও আশ্বাস দেননি নমো, এমনই দাবি মমতার।
শুক্রবার বিকেলে প্র🦩ধানমন্ত্রীর সঙ্গে Covid-19 পরিস্থিতি নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বসেন সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। সেই আলোচনায় যোগ দেন মমতাও। কিন্তু বৈঠক শেষ হওয়ার পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে সবিস্তারে জানিয়েছি। তিনি সব কিছু নোট করে নিয়েছেন। তবে কোনও আশ্বাস দেননি।’
মমতা জানিয়েছেন, এ দিনের বৈঠকে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যের একগুচ্ছ সমস্যার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে সংকটকালে রাজ্যকে বাড়তি খাদ্যশস্য প্রদান, গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ, সংক্রমণ পরীক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ইগমোমিশন কিট সরবরাহ, বেসরকারি পরী✨ক্ষারগুলিকে নমুনা পরীক্ষা করার অনুমোদন প্রদানের মতো দাবি। সেই সঙ্গে রাজ্যে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক বিমান নামা বন্ধ করার আর্জিও মোদীর কাছে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজ্যের চাহিদাগুলি নোট করে রাখলেও এই মুহূর্তে কোনও আশ্বাস দেননি প্রধানমন্ত্রী, এমনই দাবি মমতার।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় কেন্দ্রের থেকে যথাযথ সাহায্য মিলছে না বলে বৃহস্পতিবারএও অভিযোগ করেছিলেন মমতা। প্র𒆙য়োজনীয় মেডিক্যাল কিট না পাঠানোর বিষয়ে উশ্মা প্রকাশ করে তিনি কটাক্ষ করেছিলেন, ‘রোগী মারা যাওয়ার পরে চিকিৎসক এলে লাভ কী?’
সংক্রমণ নির্ণয়ের জন্য বেসরকারি পরীক্ষার কাজে লাগানোর অনুমোদন চেয়ে এর আগে দরবার করলেও তাতে কেন্দ্রের সাড়া পাননি বলে মমতা জানান, ‘রাজ্যে আরও বেসরকা🌊রি পরীক্ষারগার কাজে লাগাতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অনুমোদন চেয়েছি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ যাতে সময় মতো নির্দেশাবলী পাঠায়, তাই নিয়েও কথা হয়েছে। সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। দয়া করে সময় নষ্ট করবেন না।’
সংক্রমণ প্রতিরোধে দরকারি মাস্ক-♊সহ অন্যান্য সরঞ্জাম রাজ্য সরকারই যথটা পারছে সরবরাহ করছে জানিয়ে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চলে ইতিমধ্যে ৮০০টি আইসোলেশন শয্যার ব্যবস্থ💧া করা হয়েছে। জেলা স্তরেও হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
সংক্রমণের জেরে আন্তর্জাতিক সীমান্তে বেশ কিছু ট্রাক আটকে পড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে ঘাটতি দেখা যাবে, এই গুজবে ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে বাজার থেকে উধাও হতে শুরু করেছে খাদ্য সামগ্রী।🔯 সেই সঙ্গে গুজব রয়েছে সংক্রমণের কারণে যে কোন সময় বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এমন আশঙ্কা ভিত্তিহীন।
তিনি জানিয়েছেন, সাময়িক ভাবে কিছু কিছু পণ্য অ🍷মিল হলেও বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দেড় থেকে দুই হাজার ট্রাকဣ প্রতিবেশী রাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি না পেয়ে আটকে পড়েছে বলে তিনি জানান। সেই সঙ্গে ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় প্রবেশকারী ট্রাকগুলিকে অযথা অপেক্ষা করিয়ে খাদ্যপণ্যে পচন ধরার সম্ভাবনা তৈরি না করতে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।