খাস কলকাতায় এক স্কুল পড়ুয়াকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। একেবারে ফিল্মি কায়দায় স্কুলের সামনে থেকে একাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে অপহ🐎রণ করার অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ কলকাতার ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সামনে এমন ঘটনা ঘটায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। অভিযোগ, প্রথমে 🔴মারধর করা হয়। তারপর মুখ চেপে ধরে অ্যান্ড্রিউজ হাইস্কুলের একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রকে মোটরবাইকে তুলে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। এই ঘটনার পর লেক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তখন স্কুলে পৌঁছয় পুলিশ। আর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে থাকে। পরে কসবা এলাকা থেকে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, স্কুল ছুটি হওয়ার পর দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ পড়ুয়াদের ভিড় ছিল স্কুলের গেটের বাইরে। অভিভাবকরাও ছিলেন অনেকে। তখন ১০–১২ জন দুষ্কৃতী চড়াও হয় ওই একাদশ শ্রেণির ছাত্রের উপর। আর ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির চলে। তারপর ওই পড়ুয়াকে মুখ চেপে ধরে মোটরবাইকে তুলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পড়ুয়াদের দাবি, ওই ছাত্রকে মোটরবাইকে তুলে কয়েকজন নিয়ে যায়। সেটা তারা দেখেছে বলে পুলিশকে জানিয়ে দেয়। ൩তখন স্কুলের সামনের একটি দোকানে বসানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ অপহরণের কিনারা করে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? পুলিশ অ𒅌ফিসাররা এই ঘটনার পর কথা বলেন পড়ুয়ার বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে। সেখান থেকে তথ্য মেলে ঘটনার পর মাকে ভিডিয়ো কল করেছিল ওই অপহৃত পড়ুয়া। টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে জানা যায়, ওই ছাত্রকে কসবা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবার ততক্ষণে ত্রিকোণ প্রেমের তথ্য উঠে আসে। অপহৃত হওয়া ওই পড়ুয়া স্কুলের এক সহপাঠীকে পছন্দ করত। ওই সহপাঠী আবার অন্য একজনকে ভালবাসত। এই তথ্যই অপহৃত ছাত্রকে উদ্ধার করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: আর কতদিনের মধ্যে স্নাতকে ভর্তিꦕ হওয়া যাবে? সময়সীমা বাড়াল শিক্ষা দফতর
কেমন করে উদ্ধার হল? পুলিশ সূত্রে খবর, ওই সহপাঠীর দাদা এই কাজে জড়িত বলে তথ্য মেলে। সহপাঠীর দাদা তার বন্ধুদের নিয়ে এই অপহরণের কাণ্ড ঘটায়। তবে তাদের খোঁজ মেলেনি। কিন্তু ছাত্রকে উদ্ধার 🍬করা গিয়েছে। স্কুলের প্রধানশিক্ষক সুপ্রিয় মিত্র বলেন, ‘স্কুলের ছাত্ররা আমাকে জানিয়েছিল, স্কুলের বাইরে ওই ছাত্রকে কয়েকজন মিলে মারধর করে। তার পর তাকে মোটরবাইকে তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি পুলিশকে জানাতে তারা এসে খতিয়ে দেখেছে।’ ওই পড়ুয়া কোথায় আছে তা জানার পরই পদক্ষেপ করে পুলিশ। ওই পড়ুয়াকে লেক থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শহরের বুকে এই ঘটনা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।