কসবায় তৃণমূল কংগ্রেস সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে বন্দুকবাজ যুবরাজ সিং। তাকেই জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে পুলিশের। জানা গিয়েছে, মাত্র ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে সুশান্তকে খুন করতে রাজি হয়েছিল অভিযুক্ত যুবক। অ্যাডভান্সে আড়াই হাজার টাকাও পেয়েছিল সে। এরপরই বিহারের বৈশালী থেকে ট্রেনে করে দুই সঙ্গীকে নিয়ে কলকাতায় এসেছিল অভিযুক্ত সেই যুবক। এদিকে হাওড়া স্টেশনে নেমে ট্যাক্সি করে বন্দর এলাকায় যায় তারা। সেই ট্যাক্সির চালককেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃত চালকের নাম আহমেদ। এদিকে শুক্রবার কসবায় হামলা চালানোর আগে নাকি পার্কসার্কাসে গিয়েছিল অভিযুক্তরা। (আরও পড়ুন: ক্লডিয়ꦍাস-নীরজদের ভুলে বসলেন মমতা? বললেন, 'ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি')
আরও দেখুন: কসবায় বাড়ির সামনে বসে TMC কাউন্সিলর, বন্দুক উঁচ⛦িয়ে🐻 এল দুষ্কৃতী!
এদিকে এই মামলার তদন্তে নেমে মূল ষড়যন্ত্রকারীর খোঁজও শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে কোনও এক ইকবালের সঙ্গে যুরাজ দেখা করেছিল হামলা চালানোর আগে। পরে স্থানীয় এক যুবকের বাইকে চেপে সুশান্তের বাড়ির সামনে পৌঁছে যায় যুবরাজ। ,সেখানেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সেই বন্দুকবাজ ৯ এমএম পিস্তল বের করে তৃণমূল কাউন্সিলরকে খুন করার চেষ্টা করছে। (আরও দেখুন: 🐻হেলমেট ছাড়া বাইক চালিয়ে আইন ভাঙলেন দিলীপ! বললেন...)
এদিকে ধৃত যুবরাজ জানায়, তাঁকে টাকা দেওয়া হয়েছিল সুশান্তকে ভয় দেখানোর জন্যে, খুনের জন্যে নয়। এদিকে সেই যুবক দাবি করছে, অভিযানের সময় তার পিছনেই ছিল তার অপর দুই সঙ্গী। যদিও পুলিশ এমন কাউকে এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি। তবে তার বয়ান অনুযায়ী, এই সুপারি দিয়েছিল মহম্মদ ইকবাল ওরফে গুলজার। এমনকী অভিযানে ব্যবহৃত ৯ এমএম পিস্তলটিও ইকবালই তাকে দিয়েছিল বলে দাবি করছে যুবরাজ। (আরও পড়ুন: দেশে এখন ১🐻💎০ কোটি 'লাখপতি দিদি' আছে... আমার সরকার জনগণের টাকা বাঁচায়: মোদী)
আরও পড়ুন: হিন্দুস্তান টাইমসের শতবর্ষ♑ে স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন মোদীর, নিল😼েন ২ বাঙালির নাম…
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। তাঁকে গুলি করে খুন করার চেষ্টার সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতী যুবরাজ গ্রে🔴ফতার হয়েছে। তবে এই ঘটনার মূল ষড়যন্ত্রীকে এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। এরই সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে সুশান্তের বাড়ির সামনের সেই সিসিটিভি ফুটেজ। তাতে দেখা গিয়েছে, সুশান্ত ঘোষ যখন বাড়ির সামনে বসেছিলেন, তখনই এই দুষ্কৃতীরা তাঁর সামনে আসেন। তৃণমূল নেতার দিকে বন্দুক উঁচিয়ে খুব কাছে গিয়ে গুলি চালানোর চেষ্টা করে এক দুষ্কৃতী। দাবি করা হয়, সেই দুষ্কৃতী যখন বন্দুকের ট্রিগার চাপে, তখন ট্রিগার লক হয়ে যায়। পরে তাড়া খেয়ে দুষ্কৃতীর হাত থেকে বন্দুক পড়ে যায়। এর মধ্যে একটি গুলি ছিটকে গিয়ে লাগে বাড়ির দরজায়। এরপরই চিৎকার চেঁচামিচিতে আশপাশের এলাকার লোকজন ছুঁটে আসেন। তখনই তাঁরা ধরে ফেলেন যুবরাজকে। পরে ঘটনাস্থল💟ে আসে পুলিশ। জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে পুলিশ আসার পরই ওই দুষ্কৃতীকে।