কলকাতা পুরসভায় এবার দেখা দিল নাগরাজ। পুরসভার ট্রেজারি বিౠভাগে ছ’ফুট লম্বা একটি দাঁড়াশ সাপ দেখা দেওয়ায় আলোড়ন পড়ে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এমনকী ওই বিভাগে কর্মীরা ঢুকতে গেলে নিরাপত্তাকর্মীরা সতর্ক করে দেন। ভিতরে একটি বড় সাপ রয়েছে শুনে আতঙ্ক তীব্র হয়। এরপর তাড়া খেয়ে সাপটি এসি’র ভিতরে গুটিয়ে ঢুকে যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কলকাতা পুরসভায় সাপের আতঙ্ক দেখা দেয়। আতঙ্কের চোটে খবর দেওয়া হয় কেয়ারটেকারকে। কেয়ারটেকার তাঁর বিভাগের কর্মীদের নিয়ে ছুটে আসেন। নিয়ম অনুযায়ী, সাপ ধরার কাজ বন দফতরের। কিন্তু পুরসভা থেকে খবর যায়নি বন দফতরে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে এই ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয় কলকাতা পুরসভায়। এই বꦆিষয়টি নিয়ে পুর সচিব স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘সাপ ধরতে বন দফতরকে ফোন করতে বলেছ💫িলাম পুর কমিশনারের ওএসডি–কে। বন দফতরের লোকজন এলে ওঁরা নিশ্চয়ই আমার সঙ্গে দেখা করতেন।’ আর পুর কমিশনারের ওএসডি শৌভিক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘আমাকে সচিবালয় থেকে জানানো হয়েছিল, সাপ ধরার জন্য যেন বন দফতরকে খবর দিই। তার কিছু ক্ষণের মধ্যেই আবার বলা হয়, বন দফতরকে জানাতে হবে না।’ সুতরাং এখানে একটা ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্ত করবে সিবিআই, শাহজাহানকে হস্তান্তর করতে নির🔯্দেশ কলকাতা ꦜহাইকোর্টের
তা💫রপর ঠিক কী ঘটল? সাপটি ধরার বিষয়ে উদ্যোগ নেয় পুরসভাই। এই নিয়ে কলকাতা পুরসভার কেয়ারটেকার চন্দ্রাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সাপটি আমাদের কর্মীরা ধরে পাশে কোথাও রেখে এসেছেন।’ এটা কি করা যায়? উঠেছে প্রশ্ন। যে কাজ বন দফতরের সে কাজ কেমন করে করল কলকাতা পুরসভার কর্মীরা! যদিও জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন কেয়ারটেকার✱। তবে সূত্রের খবর, কেয়ারটেকারের কর্মীরা সাপটিকে মেরে ফেলেছে। এটা যদি সত্যি হয় তাহলে আইনের ধারায় বিপদে পড়তে পারে কলকাতা পুরসভা। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। যদিও পুরসভার অনেক কর্মীদের বক্তব্য, আগে নিজেরা বাঁচবে সাপের হাত থেকে, নাকি বন দফতরে খবর দিয়ে সাপকে বাঁচাবে!